কলাপাড়া থেকে মিলন কর্মকার রাজু: হরতালের কারণে কুয়াকাটা প্রায় পর্যটকশূন্য হয়ে পড়েছে। ইংরেজি নববর্ষ উদযাপনের জন্য বহু মানুষ কুয়াকাটায় আসার প্রস্তুতি নিলেও তারা হোটেল বুকিং বাতিল করেছেন।
এরই মধ্যে ৫২টি হোটেলে আগাম বুকিং বাতিল হয়ে গেছে । এতে হোটেলগুলো অন্তত ৫০ লাখ টাকার ব্যবসা হারিয়েছে বলে জানান হোটেল মালিকরা।
বুধবার (৩১ ডিসেম্বর) কুয়াকাটা ঘুরে দেখা যায়, হোটেল-মোটেল ও ডাকবাংলোয় পর্যটক নেই বললেই চলে। আজ নতুন করে কোনও বুকিং হয়নি। খাবার হোটেল, রেস্তোরাঁ খোলা থাকলেও সেগুলো ক্রেতাশূন্য। ঝাউবাগান, ইকোপার্ক, রাখাইনপল্লী ও গঙ্গামতি সৈকত নীরব হয়ে পড়েছে। আবার ভোর রাত থেকে হালকা বৃষ্টির জন্য শীত বেড়ে যাওয়ায় কুয়াকাটায় অবস্থানরত পর্যটকরা তেমন বাইরে বেরোচ্ছেন না।
হোটেল বীচ হ্যাভেনের ম্যানেজার বায়েজিদ মল্লিক জানান, হরতালের কারণ সব বুকিং বাতিল হয়েছে। কিছু রুমে অতিথি আছেন, হরতালের কারণে তারা ফিরে যেতে পারছেন না। দু-দিনে অন্তত তাদের ৬০ হাজার টাকার ক্ষতি হয়েছে। হোটেল নীলাঞ্জনার ম্যানেজার সৈয়দ মোস্তফা হাবিব জানান, অধিকাংশ রুম বুকিং থাকলেও হরতালের কারণে বাতিল হয়ে গেছে।
কুয়াকাটা হোটেল-মোটেল ওনার্স অ্যাসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক মোতালেব শরীফ জানান, হরতালে কুয়াকাটার ৫২টি হোটেলের মালিকরাই ক্ষতির সম্মুখীন হয়েছে। তার নিজের হোটেল কুয়াকাটা গেস্ট হাউজ অন্তত ৫০ হাজার টাকা ব্যবসা হারিয়েছে।