শেরপুর থেকে হাকিম বাবুল: উচ্ছ্বাস আর আনন্দঘন পরিবেশে শুক্রবার (৩০ জানুয়ারি) শেরপুরে শীতের পিঠা উৎসব অনুষ্ঠিত হয়েছে। উজ্জয়িনী মহিলা সংগঠন বাঙালী সংস্কৃতির অবিচ্ছেদ্য অংশ এই পিঠা উৎসবের আয়োজন করে । বিকেলে এ পিঠা উৎসবের উদ্বোধন করেন জেলা ডায়াবেটিক সমিতির সভাপতি সমাজকর্মী রাজিয়া সামাদ ডালিয়া।
পিঠা উৎসবকে ঘিরে আনন্দধাম চত্বরে এদিন শহরের বিভিন্ন পর্যায়ের সামাজিক-সাংস্কৃতিক নেতৃবৃন্দ, সুধীবৃন্দের অংশগ্রহণে যেন মিলন মেলায় পরিনত হয়।
শীতের যেসব পিঠা সমাদৃত হয়ে আসছে আবহমানকাল ধরে সেসব পিঠারই ব্যাপক সমারোহ দেখা গেছে এ পিঠা উৎসবে। রসনা বিলাসের রং-বেরংয়ের বাহারি পিঠার আয়োজনে আগত অতিথি, দর্শনার্থী সবাই উল্লাস প্রকাশ করেছেন। উজ্জয়িনী মহিলা সংগঠনের সদস্যরা ছাড়াও বিভিন্নজন বাসা-বাড়ি থেকে বাঙালীর ঐতিহ্যের ১৪০ রকমের পিঠা তৈরী করে আনেন। এসব পিঠার মধ্যে উল্লেখযোগ্য ছিল-পুলি, পাটিসাপটা, পোয়া, জামাই আদর পিঠা, বউ পিঠা, শামুক পিঠা, হৃদয়হরণ পিঠা, ছন্দপিঠা, বৈশাখী পিঠা, এলোকেশি পিঠা, দুধ-চিতই ও চিথই পিঠা, কড়া পিঠা, পাতা পিঠা, টকঝাল মিষ্টি পিঠা, সাথী পিঠা, মনকারা, কুমারী পিঠা ও এলাচ পিঠা।
আমন্ত্রিত অতিথিরা বাহারী পিঠা খেয়ে উদরপূর্তির পাশাপাশি তৃপ্তির ঢেকুর তুলে প্রশস্তির বন্দনায় ছিলেন পঞ্চমুখ। আর এ পিঠা উৎসবকে আনন্দের জোয়ারে ভাসাতে দর্শনার্থীদের জন্য অতিরিক্ত পাওনা ছিল আধুনিক গানের সঙ্গীতানুষ্ঠান। উজ্জয়িনী মহিলা সংগঠনের রোকেয়া বেগম বলেন, গত পাঁচ বছর ধরে আমরা এ শীতের পিঠা উৎসব করে আসছি। বাঙালীর চিরন্তন ঐতিহ্য উৎসবকে ধরে রাখতেই এ পিঠা উৎসব।
পিঠা উৎসবের আমন্ত্রিত শেরপুর জেলা জজ আদালতের অতিরিক্ত পিপি অ্যাড. ইমাম হোসেন ঠান্ডু বলেন, আয়োজনটি অত্যন্ত চমৎকার। উৎসবে এসে পিঠা কাওয়ার মজাই আলাদা।