বরিশাল থেকে এম.মিরাজ হোসাইন: নাশকতার শঙ্কায় বরিশাল শেবাচিম হাসপাতালের প্রধান প্রবেশপথসহ তিনটি ফটক রোববার (১৫ মার্চ) সকালে বন্ধ করে দিয়েছে কর্তৃপক্ষ। বর্তমানে শুধুমাত্র জরুরি বিভাগের প্রবেশপথটি খোলা রয়েছে।
ফলে চরম ভোগান্তিতে পড়েছেন হাসপাতালে চিকিৎসা নিতে আসা রোগী ও তাদের স্বজনরা। হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, দেশজুড়ে সরকারি স্থাপনায় নাশকতার পরিপ্রেক্ষিতে পুলিশ প্রসাশন নিরাপত্তা জোরদার করতে চিঠি দেওয়ায় এ ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে।
সম্প্রতি বরিশাল মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা অধিদপ্তর এবং আদালতে দুর্বৃত্তদের অগ্নিসংযোগের পর সরকারি গুরত্বপূর্ণ বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের নিরাপত্তা জোরদার করতে প্রতিষ্ঠানগুলোতে চিঠি দেয় বরিশাল মেট্রোপলিটন পুলিশ। চিঠিতে যে কোনও ধরণের নাশকতা ঠেকাতে পুলিশের পাশাপাশি নিজ-নিজ প্রতিষ্ঠানের উদ্যোগে নিরাপত্তা জোরদার করার তাগিদ দেওয়া হয়।
শেবাচিম হাসপাতাল সূত্রে জানা গেছে, নিরাপত্তা জোরদার করতে পুলিশের চিঠি পাওয়ার পরপরই রোববার সকালে জরুরি বিভাগের প্রবেশপথটি বাদে শেবাচিমের অন্যান্য সকল ফটকে তালা ঝুলিয়ে বন্ধ করে দেওয়া হয়। নাশকতার শঙ্কায় ফটক বন্ধ করা হলেও হাসপাতালের জরুরি বিভাগ ও অন্যান্য সেবা কার্যক্রম যথারীতি চলছে। কিন্তু প্রধান প্রবেশপথসহ সার্বক্ষণিক খোলা থাকা তিনটি ফটক হঠাৎ বন্ধ করে দেওয়ায় ভোগান্তিতে পড়েছেন রোগী ও তাদের স্বজনরা।
পটুয়াখালী থেকে আসা এক রোগীর স্বজন সোহেল মৃধা জানান, ফটক বন্ধ থাকায় রোগীর ঔষধ ও খাবার আনতে তাদের সমস্যায় পড়তে হচ্ছে। প্রতিবার হাসপাতালের বিশাল এলাকা ঘুরে তাদের আসা-যাওয়া করতে হচ্ছে। এতে যেমন তাদের সময় নষ্ট হচ্ছে তেমনি বিভিন্ন পরীক্ষার জন্য রোগীদের ডায়াগনস্টিক সেন্টারে নিতেও ঝামেলা পোহাতে হচ্ছে। ফটক বন্ধ না করে প্রবেশপথগুলোতে নিরাপত্তারক্ষী কিংবা আইনশৃঙ্খলা বাহিনী মোতায়ন করলে তাদের এ ভোগান্তি পোহাতে হতোনা, বলে জানান রোগীর স্বজনরা।
এ ব্যাপারে হাসপাতালের উপ-পরিচালক মো. শহীদুল ইসলাম জানান, পুলিশের চিঠি পাওয়ার পর রোগী ও হাসপাতালের স্টাফদের নিরাপত্তার স্বার্থে হাসপাতালের তিনটি ফটক সাময়িকভাবে বন্ধ করে রাখা হয়েছে। তবে এ কারণে তেমন কোনও ভোগান্তি হচ্ছেনা বলে দাবি করেন তিনি।