শেরপুর থেকে হাকিম বাবুল: মানবতাবিরোধী অপরাধে ফাঁসির দণ্ডপ্রাপ্ত যুদ্ধাপরাধী জামায়াত নেতা মুহম্মদ কামারুজ্জামানের লাশ শেরপুরের মাটিতে দাফন প্রতিহত করতে ডিসি-এসপি’কে (জেলা প্রশাসক ও পুলিশ সুপার) স্মারকলিপি দিয়েছেন মুক্তিযোদ্ধারা। মুক্তিযোদ্ধা সংসদ শেরপুর জেলা ইউনিট কমান্ড নেতৃবৃন্দ ৭ এপ্রিল মঙ্গলবার দুপুরে এ স্মারকলিপি প্রদান করেছেন। এসময় ডিসি ও এসপি যথাযথ গুরুত্ব সহকারে বিষয়টি উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে অবহিত করবেন বলে মুক্তিযোদ্ধাদের জানিয়েছেন।
শেরপুর জেলা মুক্তিযোদ্ধা সংসদের ইউনিট কমান্ডার আবু সালেহ মো. নূরুল ইসলাম হিরু জানান, কামারুজ্জামানের লাশ শেরপুরের মাটিতে কবর দিতে না দেওয়ার জন্য শেরপুর জেলা ও সদর উপজেলা ইউনিট কমান্ডের মুক্তিযোদ্ধাদের নিয়ে জেলা প্রশাসক ও পুলিশ সুপারের নিকট পৃথক স্মারকলিপি দিয়েছি। সোমবার রাতে মুক্তিযোদ্ধা সংসদের এক জরুরি সভায় কামারুজ্জামানের লাশ শেরপুরের মাটিতে দাফন প্রতিহত করতে সর্বসম্মত সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। ফাঁসি কার্যকরের সাথে সাথেই ঢাকা থেকে শেরপুরের প্রবেশ মুখে সকল রাস্তায় মুক্তিযোদ্ধারা অবস্থান নেওয়ার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। সেই সভার সিদ্ধান্তক্রমে ডিসি-এসপি’কে স্মারকলিপি দেওয়া হয়। একইসাথে তিনি কামারুজ্জামানের ফাঁসি দ্রুত কার্যকরেরও দাবি জানান।
জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ জাকীর হোসেন জানান, মুক্তিযোদ্ধা সংসদের একটি স্মারকলিপি পেয়েছি তা উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে অবহিত করেছি। এদিকে, জেলা পুলিশ সুপার মেহেদুল করীম জানান, কামারুজ্জামানের রায়কে কেন্দ্র করে কোনও প্রকার নাশকতা সৃষ্টি হলে তা কঠোর হস্তে দমন করা হবে। জেলায় বিজিবি, র্যাব, পুলিশ, ব্যাটালিয়ন আনসারসহ বিপুল সংখ্যক আইন-শৃংখলা বাহিনী নিয়োজিত আছে।
জেলা মুক্তিযোদ্ধা সংসদের ইউনিট কমান্ডার আবু সালেহ মো. নূরুল ইসলাম হিরু (অবসরপ্রাপ্ত ডিজিএম, অগ্রণী ব্যাংক) কামারুজ্জামানের সম্বন্ধি (স্ত্রীর বড় ভাই)।