বড়লেখা হাসপাতালে অপারেশন টেবিলে রোগী রেখে ডাক্তার প্রাইভেট ক্লিনিকে!

মৌলভীবাজার থেকে আজিজুল ইসলাম: মৌলভীবাজারের বড়লেখা উপজেলা হাসপাতালে বৃহস্পতিবার ১৬ এপ্রিল সকালে সিজারিয়ান অপারেশনের এক রোগীকে মুমূর্ষু অবস্থায় অপারেশন টেবিলে রেখে গাইনী কনসালটেন্ট প্রায় তিনঘন্টা হাসপাতাল থেকে উধাও হয়ে যান বলে অভিযোগ করেছেন রোগীর স্বজনরা। রোগীর স্বজনসহ অনেকের অভিযোগ তিনি সরকারি দায়িত্ব ফাঁকি দিয়ে তখন প্রাইভেট ক্লিনিকে রোগী দেখায় ব্যস্ত ছিলেন।

হাসপাতাল ও ভুক্তভোগী পরিবারের সদস্যরা জানান, উপজেলার বর্নি গ্রামের জিলাল আহমদের সন্তানসম্ভবা স্ত্রী সুলতানা বেগমের প্রসব ব্যথা উঠলে মঙ্গলবার (১৪ এপ্রিল) সকাল আটটায় তাকে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়। বৃহস্পতিবার সকালে সংশ্লিষ্ট চিকিৎসকগণ পরীক্ষা নিরীক্ষা করে সিজারিয়ান অপারেশনের মাধ্যমে সন্তান ডেলিভারির সিদ্ধান্ত নেন। সে অনুযায়ী সকল প্রস্তুতি নেওয়ার পর সকাল সাড়ে এগারোটার দিকে হঠাৎ গাইনী কনসালটেন্ট ডা. আহমদ হোসেন হাসপাতাল থেকে উধাও হয়ে যান। প্রায় তিন ঘন্টা খোঁজাখুঁজি করে তাকে না পাওয়া যাওয়ায় হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ ও রোগীর আত্মীয় স্বজনের মধ্যে উদ্বেগ ও উত্তেজনা দেখা দেয়।

রোগীর স্বজনেরা অভিযোগ করেন, গাইনী চিকিৎসক ডা. আহমদ হোসেন ফোন বন্ধ করে সরকারি দায়িত্ব ফাঁকি দিয়ে মুমূর্ষু রোগীকে ফেলে রেখে একটি প্রাইভেট ক্লিনিকে রোগী দেখায় ব্যস্ত ছিলেন।

এ ব্যাপারে গাইনী চিকিৎসক ডা. আহমদ হোসেনের মোবাইল ফোনে শুক্রবার কথা বললে তিনি ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে জানান, রোগী দুই দিন থেকে হাসপাতালে ভর্তি ছিল। সকালে আমি নিজেই অপারশনের সিদ্ধান্ত নেই। আমি আমার ব্যাক্তিগত কাজে বাইরে যাই।

উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. কমল রতন সাহা ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে জানান, সিজার অফারেশনের সকল প্রস্তুতি থাকা সত্বেও গাইনী চিকিৎসক ডা. আহমদ হোসেন হাসপাতাল থেকে হঠাৎ উধাও হওয়ায় তাকে বেশ বিড়ম্বনায় পড়তে হয়। এ ব্যাপারে তাকে শোকোজ করা হবে।