মধ্যপ্রাচ্যে পাচারের চেষ্টা, রাজশাহীর তিন কিশোরী গাজীপুরে উদ্ধার

কাজী শাহেদ, রাজশাহী: রাজশাহীর গোদাগাড়ী থেকে মধ্যপ্রাচ্যে পাচারের উদ্দেশ্যে ঢাকায় নিয়ে যাওয়ার পথে তিন কিশোরীকে উদ্ধার করেছে পুলিশ। শুক্রবার গভীর রাতে গাজীপুরের কালিয়াকৈরের ডানকিনিপাড়া থেকে তাদের উদ্ধার করা হয়। এ ঘটনায় গোদাগাড়ীর বংপুর এলাকা থেকে আখতারা বেগম নামের এক পাচারকারীকে আটক করা হয়েছে।

রাজশাহীর অতিরিক্ত পুলিশ সুপার আবুল কালাম আজাদ জানান, ১৮ মে চাকরির লোভ দেখিয়ে কিশোরী মিলি, আশা ও খাদিজাকে কৌশলে উপজেলার কালিগঞ্জ দিয়ে ঢাকায় পাঠিয়ে দেন আখতারা বেগম। পরে তাদের গাজীপুরের কালিয়াকৈর এলাকার রজব আলীর বাড়িতে আটকে রাখা হয়। কিশোরীদের পরিবারের পক্ষ থেকে তাদের নিখোঁজ হওয়ার অভিযোগ করা হয় গোদাগাড়ী থানায়। এরপর কিশোরীদের মোবাইল ফোন ট্র্যাকিং করে গাজীপুর থেকে তাদের উদ্ধার করা হয়। তবে পুলিশের উপিস্থিতি টের পেয়ে রজব আলী পালিয়ে যায়। পরে আখতারা বেগমকে আটক করে পুলিশ।

উদ্ধার হওয়া কিশোরীরা পুলিশকে জানিয়েছে, মধ্যপ্রাচ্যে ভালো বেতনের চাকরি দেওয়ার কথা বলে তাদের ঢাকায় নেওয়া হচ্ছিলো। পথে তাদের গাজীপুরের একটি বাড়িতে রাখা হয়।

রাজশাহীর চার পয়েন্টে বসানো হচ্ছে আইপি ক্যামেরা

অপরাধ নিয়ন্ত্রণ ও যানজট কমাতে রাজশাহী নগরীর গুরুত্বপূর্ণ মোড়গুলোতে ইন্টারনেট প্রটোকল (আইপি) ক্যামেরা বসানোর উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। প্রথম পর্যায়ে নগরীর বিন্দুর মোড়, সাহেববাজার, কলেজিয়েট স্কুলের মোড় ও লক্ষ্মীপুরে বসানো হচ্ছে এ ক্যামেরা। এ মাসেই এসব ক্যামেরা আনুষ্ঠানিকভাবে চালু করা হবে।

রাজশাহী মহানগর পুলিশ কমিশনার মো. শামসুদ্দিন জানান, বিগত সময়ে রাজশাহী নগরীর বিভিন্ন পয়েন্টে বেশ কয়েকটি নাশকতার ঘটনা ঘটেছে। এসব ঘটনায় কয়েকজন হতাহত হয়েছে। তবে ঘটনার পর প্রকৃত নাশকতাকারীদের চিহ্নিত করতে অনেক সময় লেগে যায়। তাই নাশকতাকারীদের চিহ্নিত করতে নগরীর চারটি পয়েন্টে আইপি ক্যামেরা বসানোর পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে।

তিনি আরও বলেন, প্রায় দুই মাস আগে নগরীতে আইপি ক্যামেরার আওতায় আনতে ৮ লাখ টাকার একটি প্রকল্প পুলিশ সদর দফতরে পাঠানো হয়। পরে এটির অনুমোদন দেওয়া হয়। এরপর দরপত্র আহ্বানের মাধ্যমে ঠিকাদার নিয়োগ দিয়ে কাজ শুরু করা হয়েছে। প্রাথমিকভাবে নগরীর বিন্দুর মোড়, সাহেববাজার, কলেজিয়েট স্কুল মোড় ও লক্ষ্মীপুর মোড়ে ১৬টি আইপি ক্যামেরা বসানোর সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। এরই মধ্যে এসব এলাকায় কাজ শুরু করেছে ঠিকাদার। এ মাস নাগাদ ওই চারটি পয়েন্ট ক্যামেরা বসানোর কাজ শেষ হবে।