রেজাউল করিম বকুল, শেরপুর: মালিক ও শ্রমিক পক্ষের একাংশের দ্বন্দ্বে গত তিন দিন ধরে শেরপুর থেকে রাজধানীসহ অভ্যন্তরীণ সব রুটে যানবাহন চলাচল বন্ধ রয়েছে। এ ঘটনায় চাঁদাবাজির পরস্পরবিরোধী অভিযোগ তুলে দুই পক্ষ সংবাদ সম্মেলন করেছে।
কয়েক মাস ধরে জেলা সড়ক পরিবহন শ্রমিক ইউনিয়নের একাংশের চাঁদাবাজির অভিযোগে জেলা বাস-কোচ মালিক সমিতি আন্দোলন করে আসছে। চাঁদাবাজি বন্ধ না হওয়ার মালিক সমিতি কয়েকবার বাস ধর্মঘটের ডাক দেয়।
এ অভিযোগে বুধবার সকাল থেকে শেরপুর হতে রাজধানীসহ অভ্যন্তরীণ সকল রুটে অনির্দিষ্টকালের জন্য যানবাহন চলাচলে ধর্মঘটের ডাক দেয় মালিক সমিতি।
বৃহস্পতিবার রাতে শহরের নবীনগর বাস টার্মিনাল এলাকায় শ্রমিক ইউনিয়নের একাংশের উদ্যোগে অনুষ্ঠিত সংবাদ সম্মেলনে মালিক সমিতির সভাপতি ছানোয়ার হোসেন ছানু ও সাধারণ সম্পাদক সাইফুল ইসলাম স্বপনের পদত্যাগ দাবি করেন শ্রমিক ইউনিয়নের সাধারণ সম্পাদক গোলাম মোস্তুফা।
তার সাথে একাত্মতা জানান একই সংগঠনের সহসভাপতি হামিদুর রহমান, জেলা ট্রাক চালক-শ্রমিক ইউনিয়নের সাধারণ সম্পাদক মজিবর রহমান, আওয়ামী লীগ নেতা আলহাজ্ব দুলাল উদ্দিন ও আনোয়ারুল হাসান উৎপল।
শুক্রবার দুপুরে অপর এক সংবাদ সম্মেলনে মালিক সমিতি ও শ্রমিক ইউনিয়ন নেতারা শ্রমিক ইউনিয়নের সাধারণ সম্পাদক গোলাম মোস্তুফাকে প্রকৃত চাঁদাবাজ ও সন্ত্রাসী আখ্যায়িত করে তার নেতৃত্বে পরিবহন সেক্টরে নৈরাজ্য সৃষ্টির অভিযোগ তোলেন।
তারা বলেন, চাঁদাবাজিসহ নৈরাজ্য সৃষ্টির অভিযোগে শ্রমিক ইউনিয়নের সাধারণ সম্পাদক গোলাম মোস্তফাকে বহিষ্কার করার পর থেকেই একটি বিশেষ চক্র মালিক ও শ্রমিক সংগঠনের ন্যায় সংগত সিদ্ধান্তের বিরোধিতা করছে।
এ অবস্থার দ্রুত অবসান না হলে তারা বৃহত্তর আন্দোলনের ঘোষণা দিবেন বলেও জানান।