তরুণ প্রজন্মকে বঙ্গবন্ধুর চেতনা লালন করতে হবে- বেরোবি উপাচার্য

রংপুর থেকে জয়নাল আবেদীন: বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের (বেরোবি) উপাচার্য বিশিষ্ট জনসংখ্যা বিজ্ঞানী অধ্যাপক ড. এ কে এম নূর-উন-নবী বলেছেন, আজকের তরুণরাই ভবিষ্যতে দেশের নেতৃত্ব দেবে। তাই তরুণ প্রজন্মকে বঙ্গবন্ধুর চেতনা ও আদর্শ লালন করতে হবে। কারণ বঙ্গবন্ধুই বাংলাদেশ। বঙ্গবন্ধুর জন্ম না হলে বাংলাদেশের জন্ম হতো না।

14-6-15
নবীনবরণ অনুষ্ঠানে সভাপতির বক্তৃতা দিচ্ছেন উপাচার্য

১৯৭১ সালে বাংলাদেশ নামের যে মহাকাব্য রচিত হয়েছে, এর মহাকবি হলেন জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান। বিশ্ববিদ্যালয়ের ২০১৪-১৫ শিক্ষাবর্ষে  স্নাতক (সম্মান) ১ম বর্ষে ভর্তিকৃত ছাত্রছাত্রীদের নবীনবরণ অনুষ্ঠানে সভাপতির বক্তৃতায় তিনি এসব কথা বলেন। অনুষ্ঠানে আলোচক হিসেবে উপস্থিত ছিলেন দেশবরেণ্য ব্যক্তিত্ব কথা সাহিত্যিক অধ্যাপক সৈয়দ মনজুরুল ইসলাম, বিশিষ্ট অর্থনীতিবিদ খোন্দকার ইব্রাহীম খালেদ ও কবি রুবী রহমান। নবীনবরণ উদযাপন কমিটির সদস্য সচিব ড. তুহিন ওয়াদুদের পরিচালনায় অনুষ্ঠানে অন্যান্যের মধ্যে বক্তৃতা করেন, কলা অনুষদের ডিন ড. নাজমুল হক, বিজনেস স্টাডিজ অনুষদের ডিন ড. মোঃ মতিউর রহমান, প্রকৌশল ও প্রযুক্তি অনুষদের ডিন ড. তাজুল ইসলাম, উদযাপন কমিটির আহবায়ক ড. আর এম হাফিজুর রহমান, রেজিস্ট্রার (অতিরিক্ত দায়িত্ব) মোঃ মোর্শেদ উল আলম রনি, শিক্ষার্থীদের পক্ষে সাদীয়া কবীর ও মোঃ মোন্নাফ।

নবীনদের উদ্দেশ্যে বক্তারা বলেন, ভর্তি পরীক্ষার মতো যুদ্ধ জয় করে প্রমাণ করেছো তোমরা মেধাবী। তোমাদের মেধাকে কাজে লাগিয়ে মুক্ত জ্ঞানচর্চার মাধ্যমে নিজেদেরকে দেশের সেরা হিসেবে গড়ে তুলতে হবে। বক্তারা আরো বলেন, রোকেয়ার নামে প্রতিষ্ঠিত বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী হিসেবে তোমাদেরকে রোকেয়ার সংস্কৃতি চর্চা করতে হবে কোন অপসংস্কৃতি নয়। বিশ্ববিদ্যালয়কে পঠন-পাঠন, গবেষণা আর মুক্তচিন্তার প্রসার ঘটাতে হবে। বিশ্ববিদ্যালয়কে বিশ্ববিদ্যালয়ের মতো করেই ভাবতে হবে।

অনুষ্ঠানে বিভিন্ন বিভাগের শিক্ষক-শিক্ষার্থী, কর্মকর্তা-কর্মচারী, স্থানীয় রাজনৈতিক, সামাজিক ও সাংস্কৃতিক ব্যক্তিগণ উপস্থিত ছিলেন। বেলা ১১টায় জাতীয় সঙ্গীত পাঠ ও জাতীয় পতাকা উত্তোলনের মধ্য দিয়ে অনুষ্ঠান শুরু হয়। পরে বিভিন্ন অনুষদের ডিনবৃন্দের বক্তৃতাকালে স্বস্ব অনুষদের নবীনদের ফুল ছিটিয়ে বরণ করে নেওয়া হয়।