প্রতিনিধি, শেরপুর: শেরপুর পৌরসভার মেয়র প্রার্থীদের ভোট পুনঃগণনার আদেশের বিরুদ্ধে পৌর মেয়র হুমায়ুন কবীর রুমানের করা আপিল খারিজ হয়ে গেছে।
আজ বৃহস্পতিবার হুমায়ন কবীর রুমানের পক্ষে সময় চেয়ে দরখাস্ত দিলে নির্বাচনী অ্যাপিলেট ট্রাইব্যুনালের বিচারক জেলা জজ মো. মোজাম্মেল হক আদেশের জন্য তারিখ না রেখে রুমানের দরখাস্ত না-মঞ্জুর করেন।
এতে প্রায় তিন বছর আগে নিম্ন আদালতের দেয়া ২০টি কেন্দ্রের ভোট পুণঃগণনার আদেশ বহাল থাকল।
আপিল খারিজের কথা লোকমুখে ছড়িয়ে পড়লে শহরে চাঞ্চল্য দেখা দেয়। অনেকেই সাংবাদিকদের কাছে বিষয়টি জানতে চান।
২০১১ সালের ১৭ জানুয়ারি শেরপুর পৌরসভার নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। হুমায়ুন কবীর রুমানের কাছে প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী আব্দুর রাজ্জাক আশীষ মাত্র ৫২ ভোটে হেরে যান।
আব্দুর রাজ্জাক ওই বছরের ২৪ ফেব্রুয়ারি ২০টি কেন্দ্রের ভোট আবার গণনার আবেদন করে এবং তাকে মেয়র ঘোষণার দাবি জানিয়ে নির্বাচনী ট্রাইব্যুনালে মামলা দায়ের করেন।
২০১২ সালের ২৫ জানুয়ারি নির্বাচনী ট্র্যাইব্যুনালের বিচারক মামলাটি ২০টি কেন্দ্রের ভোট পুনঃগণনার আদেশ দেন। কিন্তু তাৎক্ষণিকভাবে রুমানের পক্ষ হতে এই আদেশের বিরুদ্ধে স্থগিতাদেশ চেয়ে আপিল করা হয়। বিবাদী পক্ষ বার বার সময় চেয়ে আবেদন করায় মামলাটি দীর্ঘসূত্রিতার মধ্যে পড়ে।
আব্দুর রাজ্জাক আশীষের আইনজীবী অ্যাডভোকেট মাহবুবুল আলম রকিব বলেন, নির্বাচনী অ্যাপিলেট ট্রাইব্যুনাল আদালত ভোট পুনঃগণনার আদেশ বহাল রেখে মেয়র হুমায়ুন কবীর রুমানের করা আপিল খারিজ করে দিয়েছেন।
আদালত সুত্রে জানা যায়, ২০১১ সালের ১৭ জানুয়ারি অনুষ্ঠিত নির্বাচনে পৌরসভার ৩০টি কেন্দ্রে হুমায়ুন কবীর রুমানকে ২২ হাজার ৯১৭ ভোট পান। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী আব্দুর রাজ্জাক আশীষ পান ২১ হাজার ৮৬৫ ভোট।
আপিল খারিজ হওয়ার পর আব্দুর রাজ্জাক আশীষ বলেন, আমি এ আদেশে খুশি হয়েছে।
এদিকে, বুধবার নির্বাচন কমিশন ঘোষিত প্রথম দফার পৌর নির্বাচনের তফসিলে শেরপুর পৌরসভার নামও রয়েছে।