রতন সিং, দিনাজপুর: দিনাজপুরে বালুমহালের বালু উত্তোলনকে কেন্দ্র করে ২ ইজারাদারের বিরোধের ফলে যেকোন সময় বড় রকমের সংঘর্ষের আশঙ্কা দেখা দিয়েছে। প্রশাসনের পক্ষ থেকে উভয় পক্ষকে শান্ত থাকার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
বাংলা ১৪২৩ সনের জন্য দিনাজপুরের ফুলবাড়ী উপজেলার যমুনা নদীর বেলতলী ঘাটের জন্য রবিউল ইসলাম এবং গোপালপুর ত্রিমোহনী ঘাটের বালু মহালের জন্য শহীদুল ইসলামকে ১ বছর মেয়াদী ইজারা প্রদান করা হয়। কিন্তু গোপালপুর ত্রিমোহনী ঘাটের বালু নেওয়ার জন্য যাতায়াতকারী বালুবাহী ট্রাক্টর চলাচল করতে বাধার সৃষ্টি করে বেলতলী বালুমহালের ইজারাদার রবিউল ইসলাম। এই নিয়ে উভয় পক্ষের মধ্যে চরম উত্তেজনার সৃষ্টি হয়।
বেলতলী ঘাটের ইজারাদার রবিউল ইসলাম ও তাদের ব্যবসায়ী পার্টনার মোস্তাফিজুর রহমান বলেন, গোপালপুর ইজারাদারের বালু মহালে চলাচলরত বালুবাহী ট্রাক্টরগুলো তাদের ইজারাকৃত বেলতলী ঘাটের উপর দিয়ে যাতায়াত করছে। যার ফলে তারা ওই ট্রাক্টরগুলো চলাচল করতে বাধা দিয়েছে।
গোপালপুর ত্রিমোহনী ঘাটের ইজারাদার শহীদুল ইসলাম ও শিবলী সাদিক বলেন, গোপালপুর যাতায়াত করার জন্য একটি মাত্র রাস্তা, সেটি সরকারি রেকর্ডীয় রাস্তা, ওই রাস্তা বেলতলী ও ত্রিমোহনী ঘাটে যাতায়াত করার কথা ছিল। কিন্তু বেলতলী ঘাটের ইজারাদার রবিউল অজ্ঞাত কারনে গোপালপুর ত্রিমোহনী ঘাটে বালুবাহী ট্রাক্টর যাতায়াত করতে দিচ্ছেনা। ফলে তারা বালু উত্তোলন করতে না পেরে ব্যবসায়ীকভাবে ক্ষতিগ্রস্থ হচ্ছে। তিনি আরোও বলেন, গোয়ালপাড়া হয়ে গোপালপুর ঘাট পর্যন্ত রেকর্ডিয় রাস্তা দিয়ে যাতায়াত করার জন্য উপজেলা নির্বাহী অফিসার তাদেরকে লিখিতভাবে অনুমতি দিয়েছেন। কিন্তু ইউএনও’র অনুমতির তোয়াক্কা না করে বেলতলী ঘাটের ইজারাদার তাদের ট্রাক্টরগুলোকে চলাচলে বাধার সৃষ্টি করছেন। দুই বালু মহালের ইজারাদারদের বিরোধকে কেন্দ্র করে যে কোন সময় বড় ধরনের সংঘর্ষের আশঙ্কা করছেন এলাকাবাসী।
এলাকা পরিদর্শন করে রোববার সকালে উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোঃ এহেতেশাম রেজা বলেন, ‘উভয় পক্ষকে শান্ত থাকার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে এবং আইন অনুযায়ী উভয়ই চলাচল করবে মর্মে উভয়কে পত্র দ্বারা অভিহিত করা হয়েছে। এর মধ্যে যারা আইন অমান্য করবে কিংবা আইন হাতে নিবে তাদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।’