একেএম কামাল উদ্দিন টগর, নওগাঁ: নওগাঁয় বিদ্যুতের লোডশেডিং বেড়েছে। এ জন্য সীমাহীন বিদ্যুৎ চুরিকেই দায়ী করছে নওগাঁর জনগণ। তাদের মতে বিদ্যুৎ বিভাগের অসৎ কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের যোগসাজসে অবৈধ বিদ্যুৎ লাইন বেশি হওয়ায় লোডশেডিং বেড়েছে।
পার নওগাঁর জালাল উদ্দিন জানালেন, তার এলাকায় গত দু’তিন বছরে যে সকল নতুন ভবন গড়ে উঠেছে তার সিংহভাগই নিয়ম বর্হিভূতভাবে বিদ্যুৎ সংযোগ ব্যবহার করছে। সরকারের নীতিমালা অনyসারে বিদ্যুৎ সংযোগ গ্রহণের সময় বাসা বাড়িতে সৌর বিদুৎ ব্যবস্থা রাখার বিধান থাকলেও এ সকল নতুন বাসা-বাড়িগুলোতে সৌর বিদ্যুতের ব্যবস্থা ছাড়াই সংযোগ দেওয়া হচ্ছে। খাস নওগাঁর মকলেছুর রহমান অভিযোগ করে জানান, তার এলাকায় বিদ্যুৎ বিভাগের যোগসাজেশে শতকরা ৬০ ভাগ বাসা-বাড়িতে মিটার বাইপাস করা আছে।
এ ছাড়া নওগাঁয় অনুমোদন ছাড়াই শীতাতপ যন্ত্রের ব্যবহার চরমভাবে বেড়েছে। প্রায় প্রতিটি বাসা বাড়িতে পানির জন্য ব্যবহার করা হচ্ছে বিদ্যুৎ নিয়ন্ত্রিত মোটর। আবার মধ্যবিত্ত থেকে উচ্চবিত্তের সকলই এখন এলপিজি গ্যাসের চুলা ব্যবহার না করে বিদ্যুৎ নিয়ন্ত্রিত রাইসকুকার, ক্যারি কুকার, ইলেট্রিক চুলা ইত্যাদি ব্যবহার করছেন। এ কারণে নওগাঁয় এলপিজি গ্যাসের চাহিদা আগের তুলনায় অর্ধেকে নেমে এসছে বলে দাবি করেছেন নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক এলপিজি গ্যাস ব্যবসায়ী।
ফসলি মৌসুমে নওগাঁয় নিয়মিত বিদ্যুৎ ব্যবস্থা চালু থাকলেও মৌসুম শেষে ঘনঘন লোডশেডিং এর কারণে নওগাঁর জনজীবন অতিষ্ঠ হয়ে পড়লেও বিদ্যুৎ বিভাগ লোডশেডিং এর বিষয়টি স্বীকার করতে নারাজ। সংশ্লিষ্ট বিভাগের দাবি সঞ্চালন লাইনে মেরামতের কাজ চলার কারনে এবং পিক আওয়ারে ট্রান্সফরমারে অত্যাধিক চাপ পরায় তা বিকল হবার কারনেই নওগাঁয় বিদ্যুৎ বিতরণ বাধাগ্রস্ত হচ্ছে।
মাষ্টার পাড়া মহল্লার গৃহিনী আক্তারি বেগম জানান, যেখানে ১২শ’ টাকায় ১ বোতল এলপিজি গ্যাসে মাত্র ২০ থেকে ২২ দিন রান্না করা যায় সেখানে বৈদুতিক রান্নায় মাসে খরচ হচ্ছে মাত্র ৫ বা ৬শ টাকা। তাঁর দাবি গ্যাসের চাইতে সাশ্রয়ী হবার কারনে গৃহিনীরা বিদুৎ ব্যবহার করে রান্নার দিকে ঝুঁকছে।
নওগাঁবাসীর দাবি নওগাঁর অবৈধ বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন করলে নওগাঁয় লোডশেডিংতো হবেই না বরং নওগাঁয় সব সময় উদ্বৃত্ত বিদ্যুৎ থাকবে।