জাহিদুর রহমান তারিক, ঝিনাইদহ: জাহেদী ফাউন্ডেশনের মাধ্যমে প্রতিদিন আড়াই হাজার মানুষের মাঝে জনপ্রতি ১০ কেজি চাল, এক কেজি ডাল ও এক কেজি করে সয়াবিন তেল বিতরণ করা হচ্ছে। ঈদের আগের দিন পর্যন্ত ৫০ হাজার অসহায় দুস্থ নারী-পুরুষের মধ্যে বিনামূল্যে এসব খাদ্য বিতরণ করা হবে। এ ছাড়াও পৌর এলাকার অধিকাংশ এতিমখানায়ও চলবে একই কার্যক্রম।

আগে থেকেই বিভিন্ন গ্রাম ও মহল্লায় অরাজনৈতিক ব্যক্তিদের মাধ্যমে প্রকৃত গরিবদের তলিকা তৈরি করে তাদের মাঝে কার্ড দেওয়া হয়েছিল। সকাল ৯টা থেকে বিকাল ৩টা পর্যন্ত লাইনে দাঁড়িয়ে দরিদ্ররা খাদ্যসামগ্রী গ্রহণ করে।
তুরস্কের তাহসিন ইয়াজান ও জাহেদী ফাউন্ডেশনের চেয়ারম্যান নাসের শাহরিয়ার জাহিদী মহুলের যৌথ আয়োজনে শুক্রবার সকালে ঝিনাইদহের গোপীনাথপুর ইটভাটা প্রাঙ্গণে খাদ্য বিতরণ কর্মসূচির উদ্বোধন করেন সাবেক মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ প্রতিমন্ত্রী আব্দুল হাই এমপি। জাহেদী ফাউন্ডেশনের চেয়ারম্যান নাসের শাহরিয়ার জাহিদী মহুলের সভাপতিত্বে উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে ঝিনাইদহের জেলা প্রশাসক মাহবুব আলম তালুকদার, সহকারী পুলিশ সুপার শাহাবুদ্দিন, কাইয়ুম শাহরিয়ার জাহেদী হিজল বক্তব্য রাখেন।
এ সময় অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন তুরস্কের তাহসিন ইয়াজান, বুরহান বেকতাশ, ফাতিহ, জাবাত আলী, সদর থানার ওসি হাসান হাফিজুর রহমান, এস এ লতিফ শাহরিয়ার জাহিদী প্রজ্জল, ঘোড়শাল ইউনিয়নের চেয়ারম্যান পারভেজ মাসুদ লিল্টন, ইসরাইল হোসেন শান্তি, মোহাম্মদ আলী কানু, সাজেদুল করিম বাবু, সাহ তনু রেজা আসাদ, অধ্যক্ষ সাইদুর রহমান, প্রাক্তন অধ্যক্ষ আমিনুর রহমান টুকু, ডাক্তার রেজা সেকেন্দার, তবিবুর রহমান লাবু, ইউনুস আলী প্রমুখ।
এক সাথে ১০ কেজি চাল, এক কেজি ডাল আর এক কেজি সয়াবিন তেল পেয়ে তারা খুবই খুশি। কাঞ্চননগর গ্রামের সাজেদা পারভীন, শিল্পী বেগম, আরাপপুরের সাইফুল ইসলাম আক্ষেপ করে বলেন, সরকার নাকি আমাদের জন্য কত চাল গম দেয়, কিন্তু আমরা তা চোখে দেখলাম না কোনো সরকারের আমলেই।
জাহেদী ফাউন্ডেশন সূত্রে জানা গেছে, শুধু গরিব মানুষের মধ্যে খাদ্যসামগ্রী বিতরণ নয়, গরিব মেধাবী শিক্ষার্থীদের আর্থিক অনুদান, এতিমখানার শিশুদের সহায়তা ছাড়াও বিভিন্ন সামাজিক ও মানবিক কাজে জাহেদী ফাউন্ডেশন তাদের সাধ্যমত সহায়তার হাত বাড়িয়ে দিচ্ছে।
এ বিষয়ে জাহেদী ফাউন্ডেশনের নির্বাহী পরিচালক ও রেডিয়্যান্ট ফার্মাসিটিক্যালস লিমিটেডের চেয়ারম্যান নাসের শাহরিয়ার জাহেদী মহুল বলেন, শুধু ঝিনাইদহ পৌর এলাকা নয়, জেলার কালীগঞ্জ, শৈলকুপা, হরিণাকুন্ডু কোটচাঁদপুর ও মহেশপুর উপজেলায়ও এই খাদ্য বিতরণ করা হচ্ছে। শুধুমাত্র মানবিক দৃষ্টিকোণ থেকেই আমি এ ফাউন্ডেশন প্রতিষ্ঠা করেছি। কারণ সমাজের সুবিধাবঞ্চিত মানুষের জন্য কিছু দায়বদ্ধতা থাকা উচিত বলে আমি মনে করি।