নাচোলে মসজিদের অর্থ আত্মসাৎ

মো. আব্দুর রহমান মানিক, নাচোল (চাঁপাইনবাবগঞ্জ): চাঁপাইনবাবগঞ্জের নাচোল বাজার কেন্দ্রীয় জামে মসজিদের অর্থ আত্মসাতের অভিযোগ উঠেছে মসজিদ কমিটির সাবেক সেক্রেটারি আহসান হাবিবের বিরুদ্ধে। অর্থ আত্মসাৎ বিষয়ে গঠিত তদন্ত কমিটির প্রতিবেদনে অভিযোগের সত্যতা পাওয়া গেছে।

পৌরসভার লাইসেন্স পরিদর্শক আহসান হাবিব ২০১৩ সালের ১ অক্টোবর থেকে নাচোল বাজার কেন্দ্রীয় জামে মসজিদের সেক্রেটারির দায়িত্ব নেন। সে সময় থেকে গত বছরের ৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত দায়িত্বে থাকাকালীন পর্যন্ত মসজিদের অর্থ আত্মসাৎ করেন। তার অর্থ আত্মসাতের বিষয় নিয়ে এলকাবাসী অভিযোগ করলে মসজিদ কমিটি গত ৩০ এপ্রিল নাচোল বাজার কেন্দ্রীয় জামে মসজিদের পেশ ইমাম মাওলানা মো. ইব্রাহিমকে আহ্বায়ক করে সাত সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করে।

তদন্ত কমিটি মসজিদের অর্থ আত্মসাতের সঙ্গে আহসান হাবিবের সংশ্লিষ্টতা খুঁজে পেয়েছে বলে তদন্ত প্রতিবেদনে উল্লেখ করে। এতে বলা হয়, চাঁদা আদায়ের রশিদ বইয়ে আদায়কৃত টাকার পরিমাণ ৪ লাখ ৮৪ হাজার ১১৩ টাকা হলেও রেজিস্টারে দেখানো হয়েছে ৩ লাখ ৮৫ হাজার ৬২০ টাকা। রশিদ বই অনুযায়ী রেজিস্টারের গরমিল ৯৮ হাজার ৪৯৩ টাকা। শুধু তাই নয়, অনেক অনুদানের টাকাও রেজিস্টারে উল্লেখ নেই। এর মধ্যে রয়েছে সংসদ সদস্যের দেওয়া ২ টন চাল, তরিকুল ইসলামের দেওয়া ৫০ হাজার টাকা, আলহাজ্ব আমানুল্লাহ আল মাসুদের দেওয়া ১০ হাজার, জয়নাল আবেদীনের ৫২ হাজার ৫০০ ও ২০১৪ সালে মসজিদের পুকুর ইজারা দেওয়া বাবদ ২৭ হাজার টাকা।

এছাড়া মসজিদের উন্নতিকল্পে ২০১৫ সালের ২০ মে নাচোল পাইলট উচ্চ বিদ্যালয় ও ৫ নভেম্বর নাচোল ডিগ্রি কলেজ মাঠে অনুষ্ঠিত ধর্মীয় সভার আয়-ব্যয়ের কোনো হিসাব রেজিস্টারে উল্লেখ নেই বলে তদন্ত প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে।

তার অর্থ আত্মসাৎ বিষয়ে তদন্ত কমিটির আহ্বায়ক মাওলানা মো. ইব্রাহিম বলেন, রেজিস্টারে আয়ব্যায়ের হিসাবে ব্যাপক গরমিল লক্ষ করা গেছে।

এ বিষয়ে জানতে আহসান হাবিবের মুঠোফোনে যোগাযোগ করা হলে তিনি জানান, তার বিরুদ্ধে উত্থাপিত সকল অভিযোগ ভিত্তিহীন ও উদ্দেশ্যপ্রণোদিত।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.