টার্গেট কিলিংয়ের বিরুদ্ধে ঝিনাইদহে বিক্ষোভ ও মানববন্ধন

জাহিদুর রহমান তারিক,ঝিনাইদহ: ঝিনাইদহে সেবায়েত শ্যামানন্দ দাস, পুরোহিত আনন্দ গোপাল গাঙ্গুলী ও গুলশানে বিদেশী হত্যাসহ সারা দেশে টার্গেট কিলিং এর বিরুদ্ধে বিক্ষোভ মিছিল ও মানববন্ধন করেছে খুন-ধর্ষণ-জঙ্গিবাদ বিরোধী গণআন্দোলন ঝিনাইদহ জেলা শাখা। মানববন্ধন ও বিক্ষোভ সমাবেশে সকল শ্রেণি-পেশার মানুষ অংশগ্রহণ করে।

14
টার্গেট কিলিংয়ের বিরুদ্ধে ঝিনাইদহে বিক্ষোভ ও মানববন্ধন।

এ সময় ঢাকা থেকে আসা বিভিন্ন সংগঠনের নেতারা সেবায়েত শ্যামানন্দ দাস হত্যাকাণ্ডের স্থান পরিদর্শন করেন। সোমবার দুপুরে ঝিনাইদহ সদরের মধুপুর শ্রী শ্রী রাধামদন গোপাল বিগ্রহ মঠের সামনে এ কর্মসূচি পালিত হয়। মানববন্ধন ও বিক্ষোভ সমাবেশে অন্যান্যের মধ্যে গার্মেন্টস শ্রমিক ট্রেড ইউনিয়নের কেন্দ্রীয় সভাপতি কমরেড মন্টু ঘোষ, কেন্দ্রীয় যুব ইউনিয়নের সাবেক সাধারণ সম্পাদক আব্দুল্লাহ কাফী রতন, উদীচী শিল্পী গোষ্ঠির সহ-সাধারণ সম্পাদক জামশেদ আনোয়ার তপন, ছাত্র ইউনিয়নের কেন্দ্রীয় নেতা শিলামী শুভ, ছাত্র ইউনিয়নের সাবেক নেতা তারিক হাসানসহ কেন্দ্রীয় ও স্থানীয় নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।

কমরেড মন্টু ঘোষ বলেন, আমরা আপনাদের দুঃখ ভাগাভাগি করতে এসেছি। এভাবে মানুষ হত্যা চলতে পারে না। আমাদেরকে আরো সজাগ হতে হবে। সন্ত্রাসীদের ভয়ে ভীতু হওয়া যাবে না। ঐক্যবদ্ধভাবে তাদেরকে প্রতিহত করতে হবে। এক শে্িরণর নরপিশাচরা এ ধরনের কর্মকা- করছে।

গত শুক্রবার ঝিনাইদহ সদর উপজেলার শ্যামানন্দ দাস (৫০) নামের এক সেবায়েতকে মোটরসাইকেলে ৩ দুর্বৃত্ত এসে কুপিয়ে হত্যা করে। সে উত্তর কাষ্টসাগরা গ্রামের শ্রী শ্রী রাধারমন মঠ মন্দিরের গোসাই ও নড়াইল সদর উপজলার মুশুড়ি গ্রামের কিরন সরকারের ছেলে।

এর আগে গত ৭ জুন মঙ্গলবার সকাল ৯টার দিকে ঝিনাইদহ সদর উপজেলার নলডাঙ্গা ইউনিয়নের খড়াসিং ও সোনাইখালীর মাঠের মধ্যে মহিষা ভাগাড় নামক স্থানে আনন্দ গোপাল গাঙ্গলী (৬৪) নামে এক হিন্দু পুরোহিতকে কুপিয়ে ও জবাই করে হত্যা করে। সে ঝিনাইদহ সদর উপজেলার নলডাঙ্গা সোনাইখালী মন্দিরের পুরোহিত ছিল। নিহত আনন্দ ঝিনাইদহ সদর উপজেলার করতিপাড়ার মৃত সত্য গোপাল গাঙ্গলীর ছেলে।

এদিকে বিএনপি জামায়াতের মদদপুষ্ট সন্ত্রাস ও জঙ্গিবাদের বিরুদ্ধে বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশ করেছে ঝিনাইদহ জেলা ছাত্রলীগ। সোমবার দুপুরে জেলা ছাত্র লীগের কার্যালয় থেকে মিছিলটি বের হয়ে শহরের গুরুত্বপূর্ণ সড়ক প্রদক্ষিণ করে। পরে পায়রা চত্বরে গিয়ে মিছিলটি শেষ হয়।

সেখানে এক সংক্ষিপ্ত সমাবেশে বক্তব্য রাখেন, জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি শাকিল আহম্মেদ, সাধারণ সম্পাদক রানা হামিদসহ অন্যান্য ছাত্রলীগ নেতৃবৃন্দ। সমাবেশে ছাত্রলীগ নেতৃবৃন্দ দেশব্যাপী সন্ত্রাস, জঙ্গীবাদ, গুপ্তহত্যা বন্ধে সকলকে ঐক্যবদ্ধ হওয়ার আহ্বান জানান।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.