প্রশাসনের সহায়তায় কালা অপহরণ, খুলনা বিএনপির অভিযোগ

প্রতিনিধি, খুলনা: বিএনপির কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক নজরুল ইসলাম মঞ্জু অভিযোগ করে বলেছেন, রূপসা থানা বিএনপির যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক ও ইউপি সদস্য শেখ আবুল কাশেম কালাকে অপহরণকারী ব্যক্তিরা প্রশাসনের সহায়তায় অপহরণ করেছে। মানবিক কারণে আমরা আমাদের কর্মী শেখ আবুল কাশেম কালাকে ফেরত চাই।

শনিবার বেলা ১টায় রূপসা থানা বিএনপি আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ দাবি জানান।

????????????????????????????????????
সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন রূপসা থানা বিএনপির সভাপতি শেখ আব্দুর রশিদ।

তিনি বলেন, আদালত পাড়া অত্যন্ত সুরক্ষিত এলাকা হিসেবে জনসাধারণ বিশ্বাস করে, যেখানে সরকার যন্ত্রের বিভিন্ন এজেন্সির সদস্য ও আইন শৃংখলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যদের কড়া নজরদারী থাকে। এমন জায়গা থেকে প্রকাশ্য দিবালোকে একজন রাজনৈতিক কর্মী ও নির্বাচিত জনপ্রতিনিধি অপহরণ হওয়ায় আমরা বিষ্মিত। জামিনপ্রাপ্তি মামলায় ধার্য তারিখে আদালতে উপস্থিত হয়ে একজন মানুষ আর বাড়ি ফিরতে পারবেনা এটা কোন গণতান্ত্রিক রাষ্ট্রের মানুষ আশা করেনা। গত তিনদিন ধরে শেখ আবুল কাশেম কালার কোন সন্ধান না পেয়ে আমরা শুধুমাত্র দুশ্চিন্তাগ্রস্ত নই বরং আতংকিত। আমি ডিআইজিকে বলেছি সে যেন গুম না হয়ে যায়। সে যেন ক্রসফায়ারে না যায়।

সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে রূপসা থানা বিএনপির সভাপতি শেখ আব্দুর রশিদ আরও বলেন, রূপসার ৫নং ঘাটভোগ ইউপির ৪নং ওয়ার্ড সদস্য ও বিএনপি নেতা আবুল কাসেম কালা গত ১০/০৮/১৬ তারিখ বুধবার আনুমানিক দুপুর ১২টার দিকে আইনজীবী সমিতি ভবনের সামনে চায়ের দোকানে চা খাবার উদ্দেশ্যে দাড়ালে একটি মাইক্রোবাসে করে আবুল কাসেম কালাকে অপহরণ করে নিয়ে যাওয়া হয়।

ঘটনার পরেরদিন খুলনা থানায় গিয়ে ভগ্নিপতি মো. হালিম মোল্যা বাদি হয়ে অপহরণ মামলা দায়ের করতে গেলে পুলিশ আবেদনটি জিডি আকারে গ্রহণ করে। খুলনা থানার জিডি নং ৬৫৪ তারিখ ১১/০৮/১৬ইং।

সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন, জেলা বিএনপির সিনিয়র নেতা এ্যাডভোকেট গাজী আব্দুল বারী, বিএনপি নেতা মনিরুজ্জামান মন্টু, শেখ আব্দুর রশিদ, সাবেক ছাত্র নেতা আবু হোসেন বাবু, সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান মনিরুল হাসান বাপ্পী প্রমুখ।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.