রামপাল নিয়ে স্বার্থান্বেষীরা অপপ্রচার চালাচ্ছে: বাদশা

বাগেরহাট প্রতিনিধি: রামপাল তাপ বিদুৎ প্রকল্পের কাজে নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে শেষ করতে হবে। সরকার এজন্য পার্শ্ববর্তী সুন্দরবনসহ সকল গুরুত্বপূর্ণ বিষয়গুলো মাথায় রেখে কাজ করছে। বাংলাদেশ ভারত মৈত্রী পাওয়ার কোম্পানির রামপাল তাপ বিদুৎ প্রকল্প শুরু থেকেই একটি স্বার্থান্বেষী মহল বিদেশি ষড়যন্ত্রে নানা অপপ্রচার চালাচ্ছে। সোমবার বাংলাদেশ-ভারত  ১ হাজার ৩২০ মেগাওয়াট মৈত্রী সুপার তাপ বিদুৎ প্রকল্পের কয়লা পরিবহন কার্যক্রমের পরিবেশগত ও আর্থ-সামাজিক সমীক্ষালব্ধ প্রভাব সম্পর্কিত অবহিতকরণ সভায় প্রধান অতিথির বক্তৃতায় মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রাণালয় বিষয়ক সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি আলহাজ এ্যাডভোকেট মীর শওকাত আলী বাদশা এসব কথা বলেন।

Bagerhat Photo-3 (22-8-16)
সভায় বক্তৃতা করছেন শওকাত আলী বাদশা।

বাগেরহাটের জেলা প্রশাসক মো. জাহাংগীর আলমের সভাপতিত্বে উক্ত সভায় বিশেষ অতিথি হিসাবে বক্তৃতা করেন প্রকল্পের ব্যবস্থাপনা পরিচালক উজ্জ্বল কান্তি ভট্টাচার্য্য, বাগেরহাটের সিভিল সার্জন ডা. অরুণ চন্দ্র মন্ডল, অধ্যাপক মোজাফফর হোসেন, বাগেরহাট প্রেসক্লাবের সভাপতি এ্যাড. শাহ আলম টুকু, সহকারী পুলিশ সুপার মোল্লা জিয়াউল আলম ও মনিরুল ইসলাম মানিক।

সভায় আরো বক্তৃতা করেন খন্দকার আজিজুর রহমান, আ. মজিদ, জয়নাল আবেদীন, মোক্তারুজ্জামান, এ্যাড. শাহ ই আলম বাচ্চু, এ্যাড. ফরিদ উদ্দীন আহম্মেদ, মীর ফজলে সাইদ ডাবলু, বাগেরহাট প্রেস ক্লাবের সাবেক সভাপতি বাবুল সরদার, আহসানুল করিম, জেলা আইনজীবী সমিতির সাধারণ সম্পাদক  এ্যাড. হাওলাদার অজিয়ার রহমান পিকলুসহ অন্যরা।

সভায় বক্তারা বলেন, সুন্দরবন আমাদের মায়ের মতো আগলে রেখেছে। তাই কোনোক্রমেই আমরা সুন্দরবনের ক্ষতি হতে দেবো না। সুন্দরবনকে রক্ষা করেই রামপালে প্রকল্পের কাজ চলছে। মাননীয় প্রধানমন্ত্রী ঘোষণা করেছেন ২০১৯ সালের মধ্যে গ্রামের প্রতিটি ঘরে বিদুৎ পৌঁছে দিবেন। সেকারণে সরকার গ্রামের কৃষকদের সেচ, জ্বালানিসহ জনগণের সুবিধার্থে বিদ্যুৎ খাতকে অধিক গুরুত্বের সাথে দেখছে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.