হাকিম বাবুল, শেরপুর: পুলিশ কনস্টেবল রাকিবুল হাসানের মৃত্যুরহস্য উদঘাটনে তিন পুলিশ কর্মকর্তাকে প্রধান করে তিনটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে।
এছাড়া সিআইডি, র্যাব পৃথকভাবে ঘটনাটির ছায়া তদন্ত করছে বলে সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে।
সোমবার সকালে শেরপু পুলিশ লাইনের কাছে পূর্বশেরি এলাকায় একটি রাস্তার পাশের বৈদ্যুতিক টাওয়ারের নিচ থেকে কনস্টেবল রাকিবুল হাসানের (২০) রক্তাক্ত লাশ উদ্ধার করা হয়। তাকে হত্যা করা হয়েছে বলে পুলিশ প্রাথমিকভাবে জানায়।
শেরপুর সদর থানার ওসি মো. নজরুল ইসলাম কনস্টেবল রাকিবের রক্তাক্ত লাশ উদ্ধারের ঘটনায় তিনটি তদন্ত কমিটি গঠনের সত্যতা নিশ্চিত করেছেন। তিনি বলেন, রাকিবের মৃত্যুরহস্য উদঘাটিত না হওয়া পর্যন্ত সার্বক্ষণিকভাবে এসব তদন্ত কমিটি কাজ করবে। এছাড়া সিআইডি, র্যাব ও পুলিশের বিভিন্ন সংস্থা পৃথকভাবে ঘটনাটির ছায়া তদন্ত করছে।
মঙ্গলবার দুপুরে গ্রামের বাড়ি টাঙ্গাইলের দেলদুয়ার উপজেলার শৈলকুড়িয়ায় দ্বিতীয় জানাযা শেষে রাকিবকে পারিবারিক কবরস্থানে দাফন করা হয়। সোমবার রাতে শেরপুর পুলিশ লাইন মাঠে তার প্রথম নামাজে জানাযা অনুষ্ঠিত হয়। এতে পুলিশ সুপার মেহেদুল করিমসহ জেলা পুলিশের বিভিন্ন পর্যায়ের কর্মকর্তা ও পুলিশ বাহিনীর সদস্যরা অংশ নেন।
ময়নাতদন্তকারী চিকিৎসক সদর হাসপাতালের আবাসিক স্বাস্থ্য কর্মকর্তা (আরএমও) ডা. মো. আব্দুল মোবারক জানিয়েছেন, লোহার শাবল বা এজাতীয় কিছু ভারী লৌহদণ্ডের আঘাতে পুলিশ কনস্টেবল রাকিবুলের মৃত্যু হয়েছে। আঘাতে তার মাথার খুলি ভেঙে ও উরুর হাড় ভেঙে গেছে।
মামলাটির তদন্ত কর্মকর্তা সদর থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) মোস্তাফিজুর রহমান জানান, অনেকগুলো বিষয় আমলে নিয়ে কনস্টেবল রাকিবুলের মৃত্যুরহস্য উদঘাটনে তদন্ত কাজ এগিয়ে চলছে। আশা করছি, শীঘ্রই রহস্য উন্মোচন করা সম্ভব হবে।
পুলিশ কনস্টেবল রাকিবুলের লাশ উদ্ধারের পর পরই পুলিশ লাইন সংলগ্ন ঘটনাস্থলের পাশ্ববর্তী পূর্বশেরি এলাকার বাসিন্দা ‘নীলার মা’ নামে পরিচিত মিনু বেগমকে সদর থানায় নিয়ে গেলেও তাকে আটক কিংবা গ্রেপ্তারের কথা পুলিশ স্বীকার করেনি। সদর থানার ওসি নজরুল ইসলাম বলেছেন, তদন্তে কাজে সহায়তার জন্য তাকে থানায় এনে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে।
গত বছরের ১২ নভেম্বর পুলিশ বাহিনীতে যোগদানের পর থেকেই রাকিবুল শেরপুর পুলিশ লাইনে কর্মরত ছিলেন। তার কনস্টেবল নং ২২৭।