ইউএসএআইডি’র আর্থিক সহায়তায় পরিচালিত প্ল্যান-ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশের প্রটেক্টিং হিউম্যান রাইটস (পিএইচআর) প্রোগ্রাম ও বাংলাদেশ জাতীয় মহিলা আইনজীবী সমিতি ‘পারিবারিক সহিংসতা (প্রতিরোধ ও সুরক্ষা) আইন, ২০১০ এর পাঁচ বছর: সারভাইভারদের জন্য কতটুকু সহায়ক?’ শীর্ষক সেমিনার বুধবার ঢাকায় অনুষ্ঠিত হয়েছে। সেমিনারে এই আইনটি সারভাইভারদের কতটুকু উপকার করছে- তা নিয়ে পরিচালিত গবেষণার ফলাফল তুলে ধরা হয়েছে। পাশাপাশি মাঠ পর্যায়ে বিচারক, আইনজীবী, মহিলা বিষয়ক কর্মকর্তা, ধর্মীয় নেতা, সারভাইভার ও আইনটির সাথে জড়িতরা কি ধরনের চ্যালেঞ্জের মুখোমুখি হচ্ছেন তা তুলে ধরা হয়েছে।
অধ্যাপক শাহনাজ হুদা গবেষণালব্ধ ফলাফল উপস্থাপন করেন, যেখানে বিভিন্ন অঞ্চলে আইনটির নিষ্ক্রিয়তার কারণ বা বিদ্যমান অস্বচ্ছতা দূর করার দিক-নির্দেশনা ও সুপারিশের পাশাপাশি সমাজের সকল স্তরে আইনটিকে শক্তিশালীর করার পরামর্শ রাখা হয়েছে। গবেষণায় দেখা গেছে, বিভিন্ন অঞ্চলে এ আইনের আওতায় মামলা দায়ের করার সংখ্যা অনেক কম কিন্তু বেসরকারি সংস্থা কাজ করছে এমন এলাকায় মামলার সংখ্যা বৃদ্ধি পাচ্ছে। এর মধ্যে রয়েছে পিএইচআর কর্মসূচির কর্মএলাকা। গবেষণায় আরো উঠে আসে মামলা নিষ্পত্তিতে কম সময় লাগায় আইনজীবীরা পেশাগত কারণে এ আইনের অধীনে কোন ধরনের মামলা নিতে বা পরিচালনা করতে আগ্রহী হচ্ছেন না।
এ অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন মহিলা ও শিশু বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সচিব নাসিমা বেগম। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন আমেরিকান দূতাবাসের ডেপুটি চিফ অব মিশন ডেভিড মিয়ালে, আইন, বিচার ও সংসদ বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের যুগ্ম-সচিব উম্মে কুলসুম, মহিলা ও শিশু বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের নারী নির্যাতন প্রতিরোধে মাল্টিসেক্টরাল প্রোগ্রামের প্রকল্প পরিচালক ড. আবুল হোসেন, জাতীয় আইনগত সহায়তা প্রদান সংস্থার পরিচালক মালিক আব্দুল্লাহ আল আমিন, পারিবারিক নির্যাতন প্রতিরোধ জোট আমরাই পারি’র প্রতিনিধি এবং বাংলাদেশ জাতীয় আইনজীবী সমিতির প্রেসিডেন্ট এডভোকেট ফাওজিয়া করিম ফিরোজ।
এছাড়া অনুষ্ঠানে সরকারের বিভিন্ন মন্ত্রণালয় ও সংস্থার প্রতিনিধি, নারী অধিকারকর্মী, নাগরিক সমাজের নেতৃবৃন্দ এবং গণমাধ্যমকর্মীগণ উপস্থিত ছিলেন।
অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণকারীগণ এই আইনের কার্যকারিতা ও আরো বেশি সংখ্যক মানুষের কাছে পৌঁছে দিতে করণীয়সহ সারভাইভার সার্ভিসের গুণগত মান বৃদ্ধিও উপর জোর দেন। পাশাপাশি তারা এই আইন ও ২০১৩ সালে প্রণীত বিধিমালা বাস্তবায়নে তাদের অভিজ্ঞতা তুলে ধরেন। আলোচকরা আইনের বাইরেও সামাজিকভাবে পারিবারিক সহিংসতা প্রতিরোধের চেষ্টা করতে বলেন। সংবাদ বিজ্ঞপ্তি।