স্বপন কুমার কুন্ডু, ঈশ্বরদী (পাবনা): ঈশ্বরদীর দাশুড়িয়ায় প্রকাশ্যে নির্বিচারে বিভিন্ন প্রজাতির প্রায় ২০/২৫টি সরকারি গাছ কেটে নির্মাণ করা হচ্ছে ‘দেওয়ান ফিলিং স্টেশন’ নামে একটি ফিলিং স্টেশন। প্রশাসনের অনুমতি না নিয়েই দাশুড়িয়া-পাকশী মহাসড়কের নওদাপাড়া ব্রীজ সংলগ্ন মহাসড়কের পশ্চিম পার্শ্বে লাগানো শিশুসহ বিভিন্ন প্রজাতির গাছগুলো কাটা হয়েছে। বেশিরভাগ গাছের চিহ্ন পর্যন্ত মুছে ফেলার চেষ্টা করা হয়েছে। দুই/একটি গাছের শেকড় ও গুড়ি থাকলেও তা মাটি দিয়ে ঢেকে রাখা হয়েছে। মঙ্গলবার সরেজমিন অনুসন্ধানে গেলে এর সত্যতা পাওয়া যায়।
অনুসন্ধানে জানা গেছে, প্রায় একমাস আগে থেকেই ওই স্থানে ফিলিং ষ্টেশন নির্মাণ কাজ শুরু হয়। নির্মাণ কাজ নির্বিঘ্ন করতে সরকারিভাবে রোপন করা এসব গাছ দিনে দুপুরে কেটে ফেলা হয়। প্রশাসনের অজান্তে নির্বিঘ্নেই গাছ কাটার কাজটি সম্পন্ন করা হয়। দেখা যায়, বেশ কিছু শ্রমিক সেখানে গাছ কাটছেন। গাছ কাটার বিষয়ে তাদের জিজ্ঞাসা করলে তারা বলেন, এই ফিলিং ষ্টেশনের মালিকের নির্দেশে তারা এই কাজ করেছেন। নাম প্রকাশ না করার শর্তে স্থানীয় এলাকাবাসী জানান, সরকারি গাছ অবৈধভাবে কেটে চরম অন্যায় করেছেন ফিলিং ষ্টেশনের মালিক। গাছগুলো মহাসড়কের দুই পার্শ্বের শুধু সৌন্দর্য্য বর্ধনকারীই নয়, পাশের সেতুর (ব্রীজ) রক্ষক হিসেবেও ভূমিকা পালন করে। স্থানীয় ইউপি সদস্য আনোয়ারুল ইসলাম ডাবলু এই ঘটনার তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়ে বলেন, প্রায় ২০/২৫ দিন ধরে প্রকাশ্যে দিনের বেলায় এতো বড় অন্যায় কাজ চলছে। অথচ প্রশাসন কোনো পদক্ষেপ গ্রহণ করছে না। এ বিষয়ে ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যানকে অবহিত করবেন বলে তিনি জানিয়েছেন।
ঈশ্বরদী উপজেলা বন বিভাগের কর্মকর্তা ইসমাইল হোসেন বলেন, বিষয়টি আমিও জানি। সরকারি অনুমতি ছাড়া গাছ কেটে তিনি অন্যায় করেছেন। এদিকে দেওয়ান ফিলিং ষ্টেশনের মালিক আমজাদ হোসেন দেওয়ান বলেন, আমি নিজে গাছ কাটি নাই। আমার অনুরোধে বন বিভাগের কর্মকর্তারা গাছ কেটেছে। তবে বন বিভাগের কোন কর্র্মকর্তা বা কর্মচারীর নির্দেশে গাছ কাটা হচ্ছে তা তিনি জানাননি। এদিকে ভারপ্রাপ্ত উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও ঈশ্বরদী উপজেলার সহকারী কমিশনার ( ভূমি) শিমুল আখতারের কাছে সরকারি গাছ কাটার বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, এই বিষয়ে আমি কিছুই জানিনা। যদি সরকারি গাছ কাটা হয়ে থাকে তবে দোষীদের বিরুদ্ধে যথাযথ ব্যবস্থা নেয়া হবে।