দেশের খবর রিপোর্ট: একজন গ্রাহকের সঙ্গে প্রতারণা করার দায়ে দেশের বৃহত্তম মোবাইল অপারেটর গ্রামীণফোনকে আড়াই লাখ টাকা জরিমানা করেছে জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর।
অধিদপ্তদেরর প্রধান কার্যালয়ের উপপরিচালক শাহীন আরা মমতাজ আজ রোববার এক শুনানিতে এ অর্থদণ্ডের সিদ্ধান্ত দেন।
গ্রামীণফোনের গ্রাহক আবদুল্লাহ শিবলী সাদিকের দায়ের করা অভিযোগের প্রেক্ষিতে অধিদপ্তর প্রতারণার সত্যতা পায়।
জরিমানার অর্থের মধ্যে ৬২ হাজার ৫০০ টাকা প্রতারিত গ্রাহককে দেওয়া হবে।
অধিদপ্তরের ফেসবুক পেইজের একটি পোস্ট থেকে জানা গেছে, ২০১৫ সালের ২৮ সেপ্টেম্বর আব্দুল্লাহ শিবলী সাদিক তার মোবাইলে গ্রামীণফোনের অফারসংক্রান্ত একটি সংক্ষিপ্ত বার্তা (এসএমএস) পান। এতে ঈদ উপলক্ষে ২৭৫ টাকায় ১ জিবি ইন্টারনেট ডাটাপ্যাকের সঙ্গে ২ জিবি ডাটা বিনামূল্যে দেওয়া হবে বলে উল্লেখ করা হয়। এর মেয়াদ থাকবে ২৮ দিন। এসএমএসটিতে প্রযোজ্য শর্তের ক্ষেত্রে শুধুমাত্র সম্পূরক শুল্ক (এসডি) ও ভ্যাটের কথা বলা হয়।
আব্দুল্লাহ শিবলী সাদিক ৩ অক্টোবর প্যাকেজটি কেনেন। গ্রামীণফোন তার কাছ থেকে এসডি ও ভ্যাটসহ ৩২৫ টাকা ৭৪ পয়সা কেটে নেয়।
ফিরতি এসএমএসে গ্রামীণফোন শিবলী সাদিককে জানায়, বোনাস ২ জিবি ডাটার মেয়াদ থাকবে ৭ দিন। এই ডাটা শুধুমাত্র রাত ২টা থেকে দুপুর ১২টা পর্যন্ত ব্যবহার করা যাবে বলে গ্রামীণফোনের এসএমএসে বলা হয়।
প্রমোশনাল এসএমএস ও প্যাকেজ কেনার পর পাওয়া এসএমএসে শর্তের হেরফের হওয়ায় শিবলী সাদিক গ্ৰামীণফোনের কাস্টমার কেয়ারে যোগাযোগ করেন। তবে কাস্টমার কেয়ার তাকে কোনো সমাধান দিতে পারেনি।
পরে শিবলী সাদিক গ্ৰামীণফোনের বিরুদ্ধে মিথ্যা বিজ্ঞাপন প্রদান এবং তথ্য গোপন করে সেবা বিক্রি করে তাকে প্রতারিত করার প্রতিকার চেয়ে জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরে অভিযোগ দায়ের করেন।
আজ ঢাকায় অধিদপ্তরের কার্যালয়ে গ্রামীণফোনের জরিমানার মধ্য দিয়ে অভিযোগটি নিষ্পত্তি করা হয়।