ডিজিটাল যুগে শিশুদের মাঝে ইন্টারনেটের ব্যবহার বেড়ে চলার এই সময়ে তাদের সুরক্ষিত রাখতে নিরাপদে ইন্টারনেট ব্যবহার শিক্ষার প্রসার ঘটানোর সুপারিশ করেছেন শিক্ষাবিদসহ বিশিষ্টজনেরা। রাজধানীতে ”শিশুদের জন্য ইন্টারনেট নিরাপত্তা ও নিরাপদ ব্যবহার” বিষয়ে জাতীয় সেমিনারে বক্তারা বলেছেন, এ জন্য সরকারি-বেসরকারি সমন্বিত উদ্যোগ প্রয়োজন।
গণমাধ্যম উন্নয়ন সংগঠন সমষ্টি’র এ আয়োজনে সভাপতিত্ব করেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক উপাচার্য অধ্যাপক ড. আ.আ.ম.স. আরেফিন সিদ্দিক। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের স্টেট ডিপার্টমেন্টের সহযোগিতায় এ আয়োজনে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন অধ্যাপক ড. মফিজুর রহমান। অতিথি ছিলেন জাতীয় শিক্ষাক্রম ও পাঠ্যপুস্তক বোর্ডের চেয়ারম্যান অধ্যাপক মো. ফরহাদুল ইসলাম, বগুড়ার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার আলী হায়দার চৌধুরী, যুক্তরাষ্ট্র দূতাবাসের সাংস্কৃতিক কর্মকর্তা খাদিজা মোহামুদ।
ড. আ.আ.ম.স. আরেফিন সিদ্দিক বলেন, প্রযুক্তির অগ্রগতির সঙ্গে আমাদের খাপ খাইয়ে নিতে হবে। এর সঠিক ব্যবহার জানতে হবে। পাশাপাশি নিরাপত্তার দিকটিও আমাদের জানতে হবে। তিনি আরো বলেন, বাবা-মাসহ শিক্ষকদের শিক্ষার্থীদের সময় দিতে হবে, তাদের ভালো মানুষ হবার শিক্ষা দিতে হবে।
অধ্যাপক মো. ফরহাদুল ইসলাম বলেন, ইন্টারনেটের অপব্যবহার কমাতে শিক্ষকরা ভূমিকা রাখবেন। পাঠ্যপুস্তকেও বিষয়গুলো অর্ন্তভুক্ত করা হচ্ছে।
খাদিজা মোহামুদ বলেন, যুক্তরাষ্ট্র সরকার সাইবার নিরাপত্তাকে গুরত্ব দিয়ে দেখছে এবং এ নিয়ে বাংলাদেশকে বিভিন্ন সহযোগিতা করে আসছে। তিনি সভায় উপস্থিত শিক্ষার্থীদের স্কুলে ও এলাকায় গিয়ে এ বিষয়ে সচেতনতা তৈরির আহ্বান জানান।
সেমিনারে মুখ্য আলোচক ছিলেন মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদপ্তরের উপপরিচালক আনিকা রাইসা চৌধুরী, ঢাকা ট্রিবিউনের নির্বাহী সম্পাদক রিয়াজ আহমদ, চ্যানেল আইয়ের প্রধান বার্তা সম্পাদক এম, জাহিদ নেওয়াজ খান, এটিএন বাংলার বার্তা সম্পাদক নাদিরা কিরণ প্রমুখ।
সমষ্টি’র পরিচালক মীর মাসরুর জামানের সঞ্চালনায় এ আয়োজনে শিক্ষক, প্রশিক্ষক, শিক্ষার্থী, অভিভাবক এবং শিশু সংগঠন এবং উন্নয়ন সহযোগী সংস্থার প্রতিনিধিরা অংশ নেন।
সমষ্টি শিশুদের ইন্টারনেট ব্যবহার বিষয়ে সচেতনতা ও দক্ষতা বৃদ্ধির জন্য অনলাইন-অফলাইন প্রশিক্ষণ পরিচালনার পাশাপাশি সামাজিক ও নীতিনির্ধারণী উদ্যোগ সম্প্রসারণের লক্ষ্যে কাজ করে আসছে।
বিজ্ঞপ্তি