পাট গবেষণার ধান গোপনে বিক্রি, গ্রামবাসীর হাতে জব্দ

কলাপাড়া, ২০ ডিসেম্বর ২০১৪, প্রতিনিধি: পটুয়াখালীর কলাপাড়ার পাট গবেষণা ইনস্টিটিউটের প্রাঙ্গণের জমিতে উৎপাদিত ৩০ মণ ধান গোপনে বিক্রির সময় স্থানীয়রা আটক করেছে। নীলগঞ্জ ইউনিয়নের পাখিমারা গ্রামে শুক্রবার দুপুরে ধান আটক করা হয়। এ ঘটনায় এলাকাবাসী ইনস্টিটিউটের কর্মীদের দায়ী করেছেন।

এলাকার লোকজন অভিযোগ করেন, কনিষ্ঠ মাঠ কর্মকর্তা জাহিদুল ইসলাম ইনস্টিটিউটের জমিতে উৎপাদিত ধানের ৩০ মণ গোপনে বেচে দেন। বিক্রিত ধান টমটমযোগে নাওভাঙ্গা এলাকার এক ধান ব্যবসায়ীর গুদামে নিয়ে যাওয়ার সময় স্থানীয়রা ধান জব্দ করে পাট গবেষণা ইনস্টিটিউটে নিয়ে আসে।

জাহিদুল ইসলাম সাংবাদিকদের কাছে ধান চুরি বা বিক্রির সঙ্গে তার জড়িত থাকার কথা অস্বীকার করেন।

ইনস্টিটিউটের বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা মাহমুদুল আলম জুয়েল জানান, আমি নামাজ পড়তে যাওয়ার পর এ ঘটনা ঘটেছে। তবে ধান বিক্রির বিষয়টি তার অনুমতিতে হয়নি বলে তিনি জানান। তিনি বিষয়টি তদন্ত করে দেখবেন বলে জানান।

এলাকাবাসী জানান, ইনস্টিটিউটের জমিতে প্রতিবছর কম-বেশি ১০০ মণ ধান ফলে। এ ছাড়া পুকুরেও বিভিন্ন প্রজাতির মাছ চাষ হয়। এসব মাছ ও ধান প্রতিবারই গোপনে বিক্রি করে পুরো টাকাই কর্মকর্তারা আত্মসাৎ করেন।