মঙ্গলবার পাকিস্তানের নিষিদ্ধ জঙ্গী সংগঠন লস্কর-ই-জাংভির দুই সদস্যের মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করা হবে। ধর্মীয় মতবিরোধের কারণে শিয়া সম্প্রদায়ের একজন চিকিৎসককে হত্যার দায়ে ২০০৪ সালে পাকিস্তানের একটি সন্ত্রাসবিরোধী আদালত এদের মৃত্যুদণ্ডের রায় দেন। শুক্রবার তাদের মৃত্যু পরোয়ানা জারি করা হয়েছে। খবর ডন অনলাইন ও এপি’র।
দণ্ডপ্রাপ্তরা হলেন আতাউল্লাহ ওরফে কাশিম এবং মোহাম্মদ আজম ওরফে শরিফ। ২০০১ সালে করাচীর সোলজার বাজার এলাকায় ডা. আলী রাজা পিরানীকে হত্যার ঘটনায় দোষী সাব্যস্ত হন তারা।
এর আগে কয়েকবার দণ্ডিতদের মৃত্যু পরোয়ানা জারি করা হলেও রাষ্ট্রপতির স্থগিতাদেশের ফলে ফাঁসি কার্যকর হয়নি। আদালত দণ্ডপ্রাপ্তদের ২৩ ডিসেম্বর মঙ্গলবার ভোর সাড়ে ৬টায় ফাঁসিতে ঝুলিয়ে মৃত্যুদণ্ড কার্যকরের জন্য সুক্কুর কেন্দ্রীয় কারাগার কর্তৃপক্ষকে নির্দেশ দিয়েছে।
এর আগে সুক্কুর কারা পরিদর্শক এক চিঠিতে আদালতকে জানান, সরকার মৃত্যুদণ্ড স্থগিত রাখার বিষয়টি প্রত্যাহার করেছে। তিনি নতুন মৃত্যু পরোয়ানা জারি করার জন্য আদালতকে অনুরোধ করেন। অন্যদিকে দণ্ডিত একজনের বাবা হাশিম খান তার আইনজীবীর মাধ্যমে মৃত্যু পরোয়ানা স্থগিতের জন্য আদালতে আর্জি জানিয়েছেন। উচ্চতর আদালতেও শনিবার (২০ ডিসেম্বর) মৃত্যুদণ্ড স্থগিতের আবেদন করা হবে বলে জানান তাদের আইনজীবী।
শুক্রবার ফয়সালাবাদে মোহাম্মদ আকিল এবং আরশাদ মাহমুদ নামে আরো দুই জঙ্গীর ফাঁসি কার্যকর করা হয়েছে। এটা ছিল কয়েক বছরের মধ্যে প্রথম মৃত্যুদণ্ড কার্যকর। ১৬ ডিসেম্বর পেশোয়ারে তালেবান জঙ্গিদের হাতে শিশুসহ ১৪৮ জনের হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় পাকিস্তান বিভিন্ন সন্ত্রাসী ঘটনায় মৃত্যদণ্ডপ্রাপ্তদের অনুকম্পা দেখানোর অবস্থান থেকে সরে আসে। এ ঘটনার পর আফগানিস্তানসংলগ্ন উত্তর-পশ্চিমাঞ্চলে তালেবান বিরোধী সামরিক অভিযান জোরদার করা হয়েছে।
সম্পাদনা: রেজাউল হক