মধুপুর, ৩০ ডিসেম্বর ২০১৪, আব্দুল্লাহ আবু এহসান: সরকারি নীতিমালা লংঘন করে টাঙ্গাইলের মধুপুরে সার ডিলার নিয়োগে অনিয়মের অভিযোগ পাওয়া গেছে। এ নিয়োগের পেছনে মোটা অংকের অর্থ বাণিজ্যের অভিযোগও উঠেছে।
জানা যায়, স্থানীয় একটি দৈনিকে সুনির্দিষ্ট কোন ইউনিয়নের নাম উল্লেখ ছাড়াই নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি প্রকাশের মাধ্যমে এ নিয়োগ প্রক্রিয়া চালানো হচ্ছে বলে নিয়োগ প্রাপ্ত ডিলার ও খুচরা বিক্রেতারা অভিযোগ তুলেছেন।অথচ ২০০৯ সালে কৃষি মন্ত্রণালয়ের সার ডিলার নিয়োগ ও বিতরণ সংক্রান্ত নীতিমালা মোতাবেক একটি ইউনিয়নে একজন ডিলার নির্ধারণ হওয়া সত্বেও মধুপুর উপজেলায় অতিরিক্ত চারজন ডিলার নিয়োগের পাঁয়তারা চলছে।
তথ্যানুসন্ধানে জানা যায়, গত ৫ মে মধুপুর উপজেলা সার ও বীজ মনিটরিং কমিটি ১২টি ইউনিয়নে ১২ জন ডিলার নিয়োগ সম্পন্ন করেন। অথচ মোটা অংকের টাকার বিনিময়ে আরো অতিরিক্ত চারজন ডিলার নিয়োগের পাঁয়তারা চালান উপজেলা সার ও বীজ মনিটরিং কমিটির সভাপতি মধুপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও সদস্য সচিব উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা।
যে চারজন ডিলার নিয়োগের পাঁয়তারা চলছে তারা হচ্ছেন মেসার্স জেএ এন্টারপ্রাইজের জামাল উদ্দিন, মেসার্স সাইফুল ট্রেডার্সের আনোয়ার হোসেন, মদিনা ট্রেডার্সের আনিছুর রহমান ও মেসার্স শোভন এন্টারপ্রাইজের শিহাব আলম খান সজীব।
জানা যায়, এর আগেও মোটা অংকের টাকার বিনিময়ে এ উপজেলায় দুইজন ডিলার নিয়োগ করা হয়।তারা হচ্ছেন আউশনারা ইউনিয়নের আচড়া গ্রামের মহির উদ্দিন ও অরণখোলা ইউনিয়নের পিরোজপুর গ্রামের শাহ মো. রহিম।
এব্যাপারে কমিটির সদস্য মধুপুর প্রেসক্লাব সভাপতি অধ্যাপক গোলাম ছামদানী জানান, কমিটির সদস্য হলেও তাকে এ বিষয়ে কোন কিছু জানানো হয়নি। কমিটির অপর সদস্য মধুপুর থানর ওসি (তদন্ত) গোলাম মোস্তাফা জানান, তাকেও এ বিষয়ে কোন কিছু জানানো হয়নি। কমিটির অপর সদস্য মধুপুর পৌর মেয়র সরকার শহীদুল ইসলাম জানান, তিনিও এ বিষয়ে কিছুই জানেন।
এ ব্যাপারে কমিটির সদস্য সচিব উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা ড. হযরত আলী জানান, আমরা স্থানীয় এমপি’র নির্দেশনায় অতিরিক্ত ডিলার নিয়োগের সুপারিশ করেছি। অর্থ লেনদেনের ব্যাপারে আমার কিছু জানা নেই।