আমতলী থেকে সাফায়েত আল মামুন: বরগুনার আমতলীতে উচ্চফলনশীল জাতের ধানের সন্তোষজনক ফলন হচ্ছে। পাশাপাশি সবজি এবং ভুট্টা চাষেও এগিয়েছে এ অঞ্চল। চাষাবাদের উন্নত প্রযুক্তি অনুসরণ করে কৃষকরা এ অঞ্চলে ফসল উৎপাদন বাড়িয়েছে।
আমতলী উপজেলাসহ বাংলাদেশের বিভিন্ন জেলায় ব্র্যাক কৃষি ও খাদ্য নিরাপত্তা নিয়ে কাজ করছে। এতে উন্নত চাষপদ্ধতির ওপর জোর দেওয়া হচ্ছে।
প্রশিক্ষণের মাধ্যমে আধুনিক প্রযুক্তি, কারিগরি সহায়তা, উন্নত বীজ, উচ্চফলনশীল জাত, হাইব্রিড ধানসহ বিভিন্ন মৌসুমে লাভজনক ফসল চাষে আমতলীর কৃষকদের আগ্রহী করে তুলেছে ব্র্যাক। আবহাওয়া ও জলবায়ু পরিবর্তনের ক্ষতিকর প্রভাবগুলোও স্থান পেয়েছে এসব উদ্যোগে।
লোনা জমিতে লবণসহিষ্ণু জাতের ফসল চাষ সম্প্রসারণ করছে ব্র্যাক। এছাড়া এক ফসলি জমিকে দোফসলি, দোফসলি জমিকে তিন ফসলি জমিতে রূপান্তরের কাজও চলছে। কৃষকদের সারি করে চারা লাগানো ও সমন্বিত বালাই ব্যবস্থাপনার ওপর আগ্রহী করে তুলছে এসব কর্মসূচি।
ব্র্যাকের একজন কর্মকর্তা জানান, কর্মসূচির আওতায় আমতলীর সাতটি ইউনিয়নে ২০১২ সালে আমন মৌসুমে প্রায় ১০০ একর এবং বোরো মৌসুমে ১২০ একর জমিতে সূর্যমুখীর চাষ করা হয়। এছাড়া ১৪০ একরে আলোড়ন হাইব্রডি ধান, ৪০ একরে ভুট্টা ও ২০ একরে বিভিন্ন ধরনের সবজি চাষ করা হয়।
কর্মকর্তা আরো জানান, ২০১৪ সালের আউশ মৌসুমে ৯৯৪ জন কৃষক হাইব্রিড ধান, ৫০ জন সবজি, ৬০৪ জন সূর্যমুখী এবং ২৮ জন কৃষককে ভুট্টা চাষে প্রশিক্ষণ দিয়েছে ব্র্যাক। একরপ্রতি আমন ধানের গড় ফলন ছিল ৫৫ মণ, হাইব্রিড জাতের আউশ ও বোরো ধানের ৯০-৯৫ মণ।
সূর্যমুখী ও ভুট্টার ফলন হয়েছে একরপ্রতি যথাক্রমে ৩০-৩৫ মণ ৮০-৯০ মণ। বিভিন্ন ধরনের সবজি চাষ করে পারিবারিক চাহিদা মিটিয়ে বাড়তি ফসল থেকে আর্থিকভাবে অনেক লাভবান হয়েছেন কৃষকরা।
সম্প্রতি আমতলী উপজেলায় ব্লক পরিদর্শন করে বরগুনা জেলা প্রশাসক বলেন, আমন মৌসুমে ব্র্যাক কৃষি ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছে। আমতলী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মাঠ পরিদর্শন ও কাটা অনুষ্ঠানে উপস্থিত থেকে বলেন, ব্র্যাক কৃষকদের বিভিন্ন প্রশিক্ষণের মাধ্যমে আধুনিক চাষাবাদে উদ্বুদ্ধ করছে। আমতলী উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা বলেন, কৃষকদের সঠিক পদ্ধতিতে চাষাবাদের ওপর প্রশিক্ষণ প্রদান করে দক্ষিণ অঞ্চলের একফসলি জমিকে দোফসলি ও দোফসলি জমি তিন ফসলি জমিতে রূপান্তর হয়েছে।