কাউখালী থেকে রবিউল হাসান রবিন: পিরোজপুরের কাউখালীতে ছাত্রলীগ ও ছাত্রদল নেতা-কর্মীদের মধ্যে ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়ার ঘটনা ঘটেছে। এ সময় ছাত্রলীগের হামলায় ছাত্রদলের তিন নেতা আহত হয়।
বৃহস্পতিবার সকালে শহরের উত্তরবাজার সেতুর কাছে দুই ছাত্র সংগঠনের সংঘর্ষ বাঁধে। এ নিয়ে কাউখালীতে উত্তেজনা বিরাজ করছে।
স্থানীয়রা জানিয়েছেন, ৩৬তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী পালন উপলক্ষে উপজেলা ছাত্রদলের নেতা-কর্মীরা শহরের উত্তরবাজার হতে একটি শোভাযাত্রা বের করে। শোভাযাত্রাটি উত্তর বাজার সেতু পার হতে গেলে পুলিশ ও ছাত্রলীগের একদল নেতা-কর্মীর বাধার মুখে পড়ে। এ নিয়ে কথা কাটাকাটির এক পর্যায়ে ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া শুরু হয়। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাখতে পুলিশ ছাত্রদলের মিছিলটি সরিয়ে দেয়।
পরে ছাত্রদল নেতা-কর্মীরা দলীয় কার্যালয়ে প্রতিবাদ সমাবেশ করে। সমাবেশে বিএনপি নেতা মনিরুজ্জামান মিয়া, কাফি চৌধুরী, শেখ মিরাজ আহম্মেদ,বদরুদ্দোজা মিয়া, যুবদল নেতা আসাদুজ্জামান মামুন, স্বেচ্ছাসেবক দলের আরিফুর রহমান রুমেল, ছাত্রদল নেতা লিয়াকত হোসেন ও সোহেল মাহমুদ বক্তব্য দেন।
পরে নেতা-কর্মীরা বাড়ি ফেরার পথে ছাত্রলীগের কিছু নেতা-কর্মী তাদের ওপর হামলা চালায়। এতে উপজেলা ছাত্রদলের নোমান, মো. লোকমান হোসেন ও তানভীর আহম্মেদ আহত হয়।
কাউখালী ডিগ্রি কলেজ শাখা ছাত্রদলের সভাপতি মো. লিয়াকত হোসেন দাবি করেন, ছাত্রলীগ নেতা-কর্মীরা ছাত্রদলের প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর কর্মসূচি বানচাল করতে পরিকল্পিতভাবে হামলা চালিয়েছে। এতে ছাত্রদল নেতারা আহত হয়। এর আগে বুধবার রাতে কে বা কারা উপজেলা বিএনপি অফিসের সাইনবোর্ড খুলে নেয় ও পোস্টার ব্যানার ছিড়ে ফেলে।
হামলার অভিযোগ অস্বীকার করে উপজেলা ছাত্রলীগের সভাপতি মাহফুজুর রহমান শাওন দাবি করেন, ছাত্রদলের মিছিল থেকে দেশ ও স্বাধীনতাবিরোধী স্লোগান দিলে ছাত্রলীগের কিছু কর্মী এর প্রতিবাদ জানায়। পরে আ্ইনশৃংখলার স্বার্থে পুলিশ মিছিলটি সরিয়ে দেয়। ছাত্রদল নেতা কর্মীদের ওপর ছাত্রলীগ কোনও হামলা চালায়নি।