বরিশাল থেকে এম মিরাজ হোসাইন: বরিশাল থেকে হঠাৎ করে ঢাকাগামী লঞ্চ এবং বাস চলাচল বন্ধ হয়ে গেছে। আজ (৪ জানুয়ারি) দুপুর থকে লঞ্চ-বাস বন্ধ হয়ে যাওয়ায় যাত্রীরা বিপাকে পড়েছেন।
ঢাকায় বিশ দলীয় জোটের ৫ জানুয়ারির সমাবেশকে কেন্দ্র করে পরিবহন বন্ধ করে দেওয়া হয়। কাল সকাল পর্যন্ত এ ঘোষণা বলবৎ থাকবে। তবে এ ব্যাপারে পরিবহন মালিক ও নগর পুলিশের পক্ষ থেকে আলাদা বক্তব্য পাওয়া গেছে।
অন্যদিকে সোমবার সকাল ১০টায় কেন্দ্র ঘোষিত কর্মসূচি অনুযায়ী ২০ দলীয় জোট নগরীর বিএনপি কার্যালয়ে সমাবেশ করার অনুমতি চেয়েছেন বলে বিএনপি নেতারা দাবি করলেও নগর পুলিশের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে তারা কোনো আবেদন পাননি।
বাস মালিক সমিতির সভাপতি আফতাব হোসেন জানান, রোববার দুপুর ২টার পর থেকে ঢাকাগামী বাস চলাচল বন্ধ করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। পুলিশ প্রশাসনের পক্ষ থেকে বাস চলাচল বন্ধে তারা কোনও নির্দেশনা পেয়েছেন কি-না এ প্রশ্নের বিষয়টি এড়িয়ে গিয়ে তিনি বলেন, এমনিতেই যাত্রী সংখ্যা কম বলে মালিক-শ্রমিকরা বৈঠক করে এ সিদ্ধান্ত নিয়েছেন।
রবিবার বরিশাল থেকে ঢাকার উদ্দেশ্যে কীর্তনখোলা-২, সুন্দরবন-৮ এবং পারাবত-৯ লঞ্চ ঢাকার উদ্দেশ্যে ছেড়ে যাওয়ার কথা। কীর্তনখোলা লঞ্চের পরিচালক রিয়াজুল করিম জানান, পুলিশের পক্ষ থেকে তাদের জানানো হয়েছে, যাত্রীদের নিরাপত্তায় লঞ্চে চেকপোস্ট বসানো হবে। এজন্য লঞ্চ ছাড়তে নির্ধারিত সময়ের চেয়ে ঘন্টাখানেক দেরি হতে পারে। তবে ২টার দিকে নগর পুলিশের উপ-পুলিশ কমিশনার (সদর) সোয়েব আহম্মেদ-পিপিএম জানান, লঞ্চে বোমা হামলার আশংকায় লঞ্চ মালিকরা নিজ থেকেই লঞ্চ চলাচল বন্ধ করে দিয়েছেন।
এ বিষয়ে কেন্দ্রীয় লঞ্চ মালিক সমিতির সহ-সভাপতি সুন্দরবন লঞ্চ কোম্পানির পরিচালক সাইদুর রহমান রিন্টু জানান, পুলিশ প্রশাসনের পক্ষ থেকে লঞ্চ চলাচল বন্ধের তারা কোনো নির্দেশনা পাননি। লঞ্চ মালিক সমিতির পক্ষ থেকেও কাল দুপুর ২টা পর্যন্ত লঞ্চ বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত হয়েছে।
আকস্মিকভাবে বরিশাল থেকে বাস এবং লঞ্চ চলাচল বন্ধের বিষয়ে নগর বিএনপি সহ-সম্পাদক আনোয়ারুল হক তারিন বলেন, আমরা কেউ ঢাকায় যাচ্ছি না। বরিশালে গণতন্ত্র হত্যা দিবস উপলক্ষে সোমবার বরিশালে সমাবেশ করব।