মধুপুর থেকে আব্দুল্লাহ আবু এহসান: টাঙ্গাইলের ধনবাড়ীতে বিএনপির দু গ্রুপের পাল্টাপাল্টি মামলায় গ্রেফতার আতংকে বিএনপি নেতা-কর্মীরা এখন পালিয়ে বেড়াচ্ছেন। পুলিশ বিএনপি নেতা-কর্মীদের বাড়িতে হানা দিচ্ছে। মঙ্গলবার (৬ জানুয়ারি) পর্যন্ত পুলিশ পৌর বিএনপির আহ্বায়ক এসএমএ ছোবহানসহ ১০ জনকে আটক করে জেলে পাঠিয়েছে।
পুলিশের একটি সূত্র জানায়, শনিবার বিএনপির দু গ্রুপের সংঘর্ষের ঘটনায় মোট চারটি মামলা হয়েছে। এসব মামলার বাদী ও দেড় শতাধিক আসামির সবাই বিএনপির নেতা-কর্মী।
১৭ ডিসেম্বর ফকির মাহবুব আনাম ওরফে স্বপন ফকিরকে আহ্বায়ক করে ধনবাড়ী উপজেলা বিএনপি এবং একই গ্রুপের এসএমএ ছোবহানকে আহ্বায়ক করে পৌর বিএনপির নতুন কমিটি গঠনের পর ধনবাড়ী বিএনপিতে বিরোধ দেখা দেয়। এ নিয়ে জাতীয়তাবাদী আইনজীবী ফোরামের সহ-সম্পাদক অ্যাডভোকেট মোহাম্মদ আলীর সমর্থকরা ক্ষুব্ধ হয়ে ৩ জানুয়ারি স্বপন ফকিরকে ধনবাড়ীতে অবাঞ্ছিত ঘোষণা করে এবং সমাবেশ করে। এর জের ধরে সংঘর্ষ ও ভাংচুরের ঘটনা ঘটে।
এরপর প্রথমে স্বপন ফকির গ্রুপের এসএমএ ছোবহান ৪ জানুয়ারি ৩২ জনকে আসামি করে ধনবাড়ী থানায় মামলা করেন। একই দিন মোহাম্মদ আলী গ্রুপের আহত অবসরপ্রাপ্ত সেনা সদস্য সোলায়মান হোসেন বাদী হয়ে পৌর বিএনপির আহবায়ক এসএমএ ছোবহান, ইউপি চেয়ারম্যান কামাল হোসেনসহ ২৬ নেতা-কর্মীর পাল্টা মামলা করেন।
সংঘর্ষের সময় ভাংচুর করা বাড়ির মালিক উপজেলা বিএনপির সাবেক সাধারণ সম্পাদক এম আজিজুর রহমান ৫ জানুয়ারি ৩৯ জনের বিরুদ্ধে এবং অপর বাড়ির মালিক উপজেলা বিএনপির অন্যতম সদস্য হাবিবুল্লা ফকির বাদী হয়ে ৩০ নেতা-কর্মীর বিরুদ্ধে আরও মামলা দায়ের করেন।
বিএনপির দুই গ্রুপের পাল্টাপাল্টি মামলায় বিএনপি নেতা-কমীরা গ্রেফতার আতংকে সবাই পালিয়ে বেড়াচ্ছেন। ফলে ধনবাড়ীতে বিএনপির কেন্দ্রীয় কোনো কর্মসূচি পালিত হচ্ছে না।