রায়পুর থেকে মো. মাহবুবুল আলম মিন্টু: লক্ষ্মীপুরের রায়পুরে সোমবারের (৫ জানুয়ারি) সংঘর্ষের ঘটনায় বিএনপির ৩৩৭ নেতা-কর্মীকে আসামি করে দুটি মামলা হয়েছে।
তাদের বিরুদ্ধে রায়পুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তাসহ সাত পুলিশ সদস্যকে আহত করা ও আওয়ামী লীগ কর্মীদের ওপর হামলার অভিযোগ আনা হয়েছে।
মামলা দুটি সোমবার গভীর রাতে করা হলেও তা গোপন রাখা হয়। এ বিষয়ে সাংবাদিকরা জানতে চাইলে পুলিশ কোনো তথ্য জানাতে চায়নি।
থানার উপ-পরিদর্শক সিরাজ বাদী হয়ে পুলিশের ওপর হামলার ঘটনায় বিএনপি নেতা ও দক্ষিণ চরবংশী ইউনিয়নের চেয়ারম্যান হারুনুর রশিদ হাওলাদারকে প্রধান আসামিসহ ২৫ জনকে আসামি করেন বলে জানা গেছে। এ ঘটনায় অন্তত আরো ২০০ অজ্ঞাত ব্যক্তিকে আসামি করা হয়েছে।
আওয়ামী লীগ কর্মীদের কুপিয়ে হত্যার চেষ্টাসহ মিছিলে হামলার অভিযোগে ৩৭ জনকে আসামি করে যুবলীগ আহবায়ক কামরুল হাসান রাছেল আরেকটি মামলা করেন। তার মামলায় আরো ২০-২৫ অজ্ঞাত ব্যক্তিকে আসামি করা হয়েছে।
প্রথম মামলায় বিএনপির হারুনুর রশিদ হাওলাদার, সুজন, নান্টু, মুকুল, আকবর হোসেন সম্রাট, হাবিবুর রহমান সুজন, ফয়সাল, সজিব, মহাজন, ফিরোজ আলম, বাপ্পি, রিপন, হাসানুজ্জামান সবুজ, ইকবাল হোসেন, আবুল বাশার, শিপন মালত, শফিক গাজী, শাহ আলী, সেলিম দেওয়ান, আমির হোসেন, হারুনুর রশির, আইয়ুব আলী, আলাউদ্দিন, সজিব, এনামুল হক রাসেলের বিরুদ্ধে মিছিলে হামলা, ককটেল বিস্ফোরণ ও কর্তব্যরত পুলিশের ওপর হামলার অভিযোগ আনা হয়েছে।
অন্য মামলায় অভিযোগ করা হয়- আসামিরা যুবলীগ নেতা কামরুল হাসান রাসেল, পৌর কৃষক লীগ সভাপতি শাহীন ভুইয়া, জেলা যুবলীগ সদস্য তানভির হায়দার চৌধুরী রিংকু,বাবুল মেম্বার, ফরহাদ হোসেন মিরন মেম্বার, কামাল হোসেন চৌধুরী, আবু তাহের কোম্পানী, রুবেল, জালাল আহম্মদ দুলাল ও সেলিমকে কুপিয়ে হত্যার চেষ্টা করেন ও তাদের মারধর করেন।