কলাপাড়া থেকে মিলন কর্মকার রাজু: টানা অবরোধ ও রাজনৈতিক অস্থিরতার কারণে পর্যটন মৌসুম চললেও কুয়াকাটা সৈকত এখন পর্যটক শূন্য। এ কারণে কুয়াকাটার হোটেল-মোটেল ও রেষ্টুরেন্ট মালিকরা প্রতিদিন লাখ লাখ টাকা লোকসান গুনছে। গত চারদিন ধরে কুয়াকাটায় পর্যটকদের কোন আগমন নেই বললেই চলে।
কুয়াকাটা সংলগ্ন মম্বিপাড়ার সৎসঙ্গ মন্দিরে ৯ জানুয়ারি হিন্দু সম্প্রদায়ের বিশাল অনুষ্ঠানের আয়োজন করলেও কুয়াকাটার সাথে সারা দেশের সরাসরি সড়ক যোগাযোগ বন্ধ থাকায় এ অনুষ্ঠান উদযাপন নিয়ে শংকিত হয়ে পড়েছে আয়োজকরা।
কুয়াকাটা ঘুরে দেখা যায়, বিশাল সৈকতের সর্বত্রই নিরাবতা। অর্ধশতাধিক হোটেল-মোটেল ও ডাকবাংলো পর্যটক শূন্য। বন্ধ রয়েছে খাবার রেষ্টুরেন্টগুলো। এ অবস্থা চলছে গত ৩ জানুয়ারি থেকে। ফলে প্রতিটি আবাসিক হোটেল মালিকরা গড়ে প্রতিদিন ৪০ থেকে ৫০ হাজার টাকা লোকসান গুনছে, এ তথ্য জানালেন কুয়াকাটা হোটেল মোটেল ওনার্স এসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক মোতালেব শরীফ। এদিকে ৯ জানুয়ারি কুয়াকাটার মম্বিপাড়া সৎসঙ্গ মন্দিরে অনুষ্ঠিত হবে হিন্দু সম্প্রদায়ের শ্রীশ্রী অনুকূল চন্দ্রের ১২৭তম জন্মমহোৎসব ও বনভোজন। এতে প্রতিবছর দেশের বিভিন্ন স্থান থেকে ৫/৭ সহস্রাধিক হিন্দু নর-নারী উপস্থিত হয়। কিন্তু এ বছর রাজনৈতিক অস্থিরতা ও অবরোধের কারণে দেশের বিভিন্ন স্থান থেকে ভক্তদের আসা নিয়ে শংকিত আয়োজকরা।
কুয়াকাটার মম্বিপাড়া সৎসঙ্গ কেন্দ্র’র সাধারণ সম্পাদক শ্রী স্বপন কর্মকার জানান, রাজনৈতিক অস্থিরতা ও অবরোধ না থাকলে এবার হাজার হাজার পূণ্যার্থীর মন্দিরে সমাগম হবে বলে তারা আশা করছেন। মন্দিরে আসা পর্যটকদের নিরাপত্তার জন্য তারা ইতিমধ্যে প্রশাসনের সহায়তা চেয়েছেন।
কুয়াকাটা নৌ-পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ এসআই সঞ্জয় মন্ডল জানান, অবরোধের কারণে এখন কুয়াকাটায় পর্যটকদের সমাগম না হলেও ৯ জানুয়ারি সৎসঙ্গ মন্দিরে আসা পর্যটকদের নিরাপত্তার জন্য তারা সচেষ্ট আছেন।