ঝিনাইদহ থেকে মাহমুদুল হাসান মিলন: ঝিনাইদহের কালীগঞ্জ উপজেলায় আওয়ামী লীগের বর্ধিত সভায় প্রতিপক্ষের হামলায় কোলা ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি আনন্দমোহন ঘোষ (৫৫) নিহত হয়েছেন। এ সময় পুলিশসহ আরো ১১ জন আহত হয়।
আহতদের কালীগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সসহ বিভিন্ন ক্লিনিকে ভর্তি করা হয়েছে।
বুধবার (৭ জানুয়ারি) বিকেলে ঝিনাইদহ-৪ আসনের এমপি আনোয়ারুল ইসলাম আনারকে বাদ দিয়ে সাবেক এমপি আবদুল মান্নান গ্রুপের সভা করাকে কেন্দ্র করে এ হামলার ঘটনা ঘটে। আনোয়ারুলের সমর্থকদের হামলায় এসময় ১১টি মোটরসাইকেল, একটি মাইক্রোবাস ও শতাধিক চেয়ার ভাংচুর করা হয়।

দলীয় নেতা-কর্মী ও প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, সংঘর্ষে আওয়ামী লীগ নেতা আনন্দমোহন ঘোষ আহত হলে তাকে যশোর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় রাত সাড়ে ৮টার দিকে তিনি মারা যান। তিনি সাবেক সাংসদ আবদুল মান্নান গ্রুপের নেতা ছিলেন।
কালীগঞ্জ উপজেলা ছাত্রলীগের সভাপতি ইসরাইল হোসেন জানান, সাবেক এমপি আব্দুল মান্নান উপজেলা আওয়ামী লীগের কমিটি গঠন নিয়ে ষড়যন্ত্র শুরু করেছেন। তিনি গোপনে জেলা নেতৃবৃন্দদের ডেকে এনে বর্তমান এমপিকে বাদ দিয়ে বর্ধিত সভার আয়োজন করেন। এতে নেতা-কর্মীরা ক্ষুদ্ধ হয়ে হামলা ও ভাংচুর করে।

কালীগঞ্জ উপজেলা আওয়ামী লীগের আহবায়ক ও সাবেক এমপি আব্দুল মান্নান জানান, উপজেলা আওয়ামী লীগের কমিটি গঠন করার লক্ষ্যে সম্প্রতি কেন্দ্রীয় নেতাদের উপস্থিতিতে জেলা নেতৃবৃন্দ আমাকে আহবায়ক করে একটি কমিটি গঠন করে।
কালীগঞ্জ থানার ওসি আনোয়ার হোসেন জানান, কালীগঞ্জ উপজেলা আওয়ামী লীগের এক গ্রুপের বর্ধিতসভায় আরেক গ্রুপের লোকজন হামলা চালায়।