বাগেরহাট থেকে বাবুল সরদার: সুন্দরবনে র্যাবের সাথে ‘বন্দুকযুদ্ধে’ দারোগা বাহিনীর প্রধানসহ দুই বনদস্যু নিহত হয়েছে। শুক্রবার ভোরে সুন্দরবন পূর্ব বিভাগের চাঁদপাই রেঞ্জের মরা পশুর ফরেস্ট ক্যাম্পের পূর্ব পাশের সীমানার খাল এলাকায় ‘বন্দুকযুদ্ধের’ ঘটনা ঘটে।
র্যাব-৮ এর উপ-অধিনায়ক মেজর আদনান জানান, সকাল সাড়ে ৬টা থেকে আধা ঘণ্টার বন্দুকযুদ্ধে দারোগা বাহিনীর প্রধান সগীর হাওলাদার (৩২) ও তার এক সহযোগী নিহত হয়েছে। ঘটনাস্থল থেকে দেশি-বিদেশি ১২টি আগ্নেয়াস্ত্র, পাঁচটি ধারালো অস্ত্র ও ৫০ রাউন্ড গুলি উদ্ধার করা হয়। নিহত অন্যজনের নাম জানা যায়নি। তার আনুমানিক বয়স ৩০-৩২ বছর হতে পারে বলে উপ-অধিনায়ক জানান।
এর আগে গত ১১ নভেম্বর সুন্দরবনে ‘বন্দুকযুদ্ধে’ ওই বাহিনীর তখনকার প্রধান এনামুল হাওলাদার নিহত হন। এরপর সগীর দারোগা বাহিনীর নেতৃত্বে চলে আসে।
গত ৫ অক্টোবর সুন্দরবনের পূর্ব বিভাগের মৃগমারী খাল এলাকায় পুলিশের সঙ্গে দুই দফা ‘বন্দুকযুদ্ধে’ ১৩ বনদস্যু নিহত হয়।
র্যাব-৮ এর অধিনায়ক লে. কর্নেল ফরিদুল আলম জানান, দারোগা বাহিনী পশুর নদীর সীমানা খাল এলাকায় অবস্থান করছে এরকম খবর পেয়ে র্যাব-৮ এর একটি দল বৃহস্পতিবার বিকেলে ওই এলাকায় যায়। রাতে মাইকে দারোগা বাহিনীকে আত্মসমর্পণ করতে আহ্বান জানালে তারা দেয়নি। শুক্রবার ভোরে বনে ঢোকা মাত্র বনদস্যুরা র্যাবকে লক্ষ্য করে গুলি ছুড়তে শুরু করে। এসময় আত্মরক্ষার্থে র্যাবও পাল্টা গুলি চালায়। প্রায় আধা ঘণ্টা এ বন্দুকযুদ্ধ চলে। এক পর্যায়ে বনদস্যুরা সুন্দরবনের গহীনে পালিয়ে যায়। এরপর সেখানে তল্লাশি চালিয়ে সগীর ও তার এক সহযোগীর গুলিবিদ্ধ লাশ ও অস্ত্রসস্ত্র উদ্ধার করা হয়।
তিনি আরো বলেন, সগীর ও তার সহযোগীরা সুন্দরবন এবং আশপাশের এলাকায় জেলে, বাওয়ালী, মৌয়ালসহ বনজীবী এবং সাধারণ মানুষকে বিভিন্ন সময়ে মুক্তিপণের দাবিতে অপহরণ করে চাঁদা আদায় ও নির্যাতন করত। তাদের অত্যাচারে বনজীবীরা আতংকে থাকত।
সগীরের মৃত্যুর খবরে অনেক বনজীবী স্বস্তি প্রকাশ করেছেন।