ঝিনাইদহ থেকে মাহমুদুল হাসান মিলন: ঝিনাইদহের কালীগঞ্জ উপজেলার কোলা ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি আনন্দমোহন ঘোষ হত্যার ঘটনায় ৪৯ জনকে আসামি করে মামলা হয়েছে। হত্যাকাণ্ডের চারদিন পর আজ (১১ জানুয়ারি) সকাল সাড়ে ১০টার দিকে নিহতের ভাই তপন ঘোষ বাদী হয়ে কালীগঞ্জ থানায় মামলা দায়ের করেন। মামলার আসামিরা উপজেলা আওয়ামী লীগ, যুবলীগ, ছাত্রলীগ ও স্বেচ্ছাসেবক লীগের নেতা-কর্মী।
কালীগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আনোয়ার হোসেন জানান, ৪৯ জন ছাড়াও আরো অনেকেই হত্যাকাণ্ডে অংশ নেয় বলে মামলায় উল্লেখ করা হয়েছে।
তপন ঘোষ সাংবাদিকদের জানান, আমার ভাইকে নিজ দলের নেতা-কর্মীরা নৃশংসভাবে কুপিয়ে ও পিটিয়ে হত্যা করেছে। হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় কোলা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আইয়ুব হোসেন, কালীগঞ্জ পৌর আওয়ামী লীগের সভাপতি আলহাজ্ব হাজী মকশেদ আলী, আওয়ামী লীগ নেতা মিজানুর রহমান, কালীগঞ্জ উপজেলা ছাত্রলীগের সভাপতি ইসরাইল হোসেন, সাংগঠনিক সম্পাদক সজল আহমেদ, সাবেক সভাপতি জাহাঙ্গীর সোহেল সোহেল, সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক ইউপি সদস্য রনি লস্কর, উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের সাধারণ সম্পাদক আলী হোসেন অপু, যুবলীগ নেতা ফিরোজ আহমেদ সেন্টু, ইমদাদুল হক ইনতা, জাহিদ হোসেন, মিন্টু, বারোবাজার ইউনিয়ন পরিষদের সদস্য আবুল কালাম, ঝিনাইদহ-৪ আসনের এমপি আনোয়ারুল আজীম আনারের ভাতিজা নিহাল হাসনান লিপু ও রিংকুসহ ৪৯ জনকে আসমি করা হয়েছে।
বুধবার বিকালে কালীগঞ্জ উপজেলা আওয়ামী লীগের বর্ধিত সভায় ঝিনাইদহ-৪ আসনের এমপি আনোয়ারুল ইসলাম আনারের সমর্থকরা অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে হামলা ও ভাংচুর চালায়। হামলায় উপজেলার কোলা ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি আনন্দমোহন ঘোষসহ ১১ জন আহত হন। রাতে যশোর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে মারা যান তিনি।