শতবর্ষে পদার্পণ করল হার্ডিঞ্জ ব্রিজ

পাবনা থেকে স্বপন কুমার কুণ্ড: এশিয়ার দীর্ঘতম রেলসেতু হার্ডিঞ্জ ব্রিজ শতবর্ষে পদার্পণ  করেছে। ঈশ্বরদীর পাকশীতে পদ্মা নদীর ওপর ১৯১৫ সালে ব্রিজটি নির্মিত হয়।

ঐতিহাসিক হার্ডিঞ্জ  ব্রিজ প্রতিষ্ঠার মূল লক্ষ্য ছিল যোগাযোগ ব্যবস্থার উন্নয়ন ঘটিয়ে অর্থনৈতিক সমৃদ্ধি।

pabna-10,1,15-1 (2)
শত বছরের ঐতিহ্য হার্ডিঞ্জ ব্রিজ

বৃটিশ শাসনামলেরও আগে থেকে কলকাতার সাথে পূর্ব বাংলার যোগাযোগ ব্যবস্থার মূল মাধ্যম ছিল জলপথ। নৌপথে নারায়ণগঞ্জ ঘাট হতে জাহাজ ছেড়ে ঈশ্বরদীর সাঁড়া ঘাট, রায়টাঘাট হয়ে কলকাতা বন্দরে পৌঁছাতো।পদ্মার ইলিশ থেকে শুরু করে শাক-সবজিসহ বিভিন্ন পণ্য পূর্ব বাংলা হতে জাহাজে করে কলকাতায় যেত। এভাবেই কলকাতার সাথে পূর্ব বাংলার অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ড চলত।

ঈশ্বরদীর রেলওয়ের ব্রিজ নির্মাণের ইতিহাস পর্যালোচনায় জানা যায়, ১৯০৮ সালে ব্রিজ নির্মাণের মঞ্জুরি পাওয়া যায়। প্রধান প্রকৌশলী রবার্ট এর নকশা প্রণয়ন করেন। ব্রিজের প্রথম প্রকল্প প্রণয়ন করেন স্যার এস এম রেলডলস।

এ ব্রিজে রয়েছে ১৫টি মূল স্প্যান। ব্রিজে ১৫টি স্প্যান ছাড়াও দু পাশে রয়েছে তিনটি করে অতিরিক্ত ল্যান্ড স্প্যান। ব্রিজের মোট দৈর্ঘ্য ৫ হাজার ৮৯৪ ফুট।

আজ থেকে একশ বছর আগে হার্ডিঞ্জ ব্রিজ নির্মাণে মোট ব্যয় হয় তিন কোটি ৫১ লাখ ২৯ হাজার ১৬৪ টাকা। ২৪ হাজার ৪০০ শ্রমিক-কর্মচারী  পাঁচ বছর পরিশ্রম করে ১৯১৫ সালে ব্রিজের নির্মাণ শেষ করে।  ১৯৭১ সালে স্বাধীনতা যুদ্ধের শেষ পর্যায়ে ১৩ই ডিসেম্বর পাকবাহিনীকে কোণঠাসা করার লক্ষ্যে মিত্র বাহিনী বিমান থেকে বোমা নিক্ষেপ করলে ১২ নম্বর স্প্যানটি  ক্ষতিগ্রস্ত হয়।

হার্ডিঞ্জ সেতুকে ঘিরে ঈশ্বরদীর পাকশী দেশের একটি অন্যতম দর্শনীয় স্থান হিসেবে পরিচিতি লাভ করেছে।