শেরপুর থেকে রেজাউল করিম: শেরপুরের গারো পাহাড়ে হাজার হাজার একর পতিত জমিতে বিশাল দুগ্ধ খামার গড়ে উঠার সম্ভাবনা রয়েছ। প্রাকৃতিকভাবে পর্যাপ্ত গো-খাদ্য থাকায় ইতোমধ্যেই অনেকে গাভি পালন করে লাভবান হয়েছেন। তবে পুঁজি স্বল্পতার কারণে উন্নত জাতের গাভি দুগ্ধ্ খামার গড়ে তোলা তাদের পক্ষে সম্ভব হচ্ছে না।
পশু সম্পদ অধিদপ্তরের কর্মকর্তা ও স্থানীয় কৃষকরা মনে করেন, উন্নত জাতের গাভি দিয়ে দুগ্ধ খামার ও প্রক্রিয়াজাতকরণ কেন্দ্র গড়ে তোলা হলে এখান থেকে বছরে কোট কোটি টাকার প্রক্রিয়াজাতকরণকৃত দুধ রফতানি করা যেতে পারে।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, শ্রীবরদী, ঝিনাইগাতী ও নালিতাবাড়ী উপজেলায় সরকারি বা বেসরকারিভাবে গড়ে উঠতে পারে শতাধিক দুগ্ধ্ খামার। এতে কোটি কোটি টাকার দুধ উৎপাদিত হবে। বেকারত্ব দূর করণে অবহেলিত এ জনপদের জন্য সৃষ্টি হবে কর্মসংস্থানের নতুন পথ।
স্থানীয় কৃষকরা জানান. তাদের উন্নত জাতের গাভি ক্রয় করার মতো সামর্থ্য নেই। তাই তারা দেশি জাতের ২০-২৫টি করে গাভি পালন করে সংসার চালাচ্ছেন।তবে উন্নত জাতের গাভি পালন করা হলে আরো বেশি লাভবান হতে পারবে বলে মনে করেন তারা।