রাজশাহী থেকে কাজী শাহেদ: দিনের একটা অংশ রোগীদের বিনামূল্যে সেবা প্রদান করার ব্রত নিয়েছিলেন। চিকিৎসক হয়ে সেই কাজটি এখনও করছেন। যতোদিন বেঁচে থাকবেন, কাজটি চালিয়ে যেতে চান তিনি। ২৮ বছর আগে ১১ জন রোগী নিয়ে রাজশাহীর ডায়াবেটিস রোগীদের সেবার জন্য যে কেন্দ্রটি চালু করেছিলেন, তাতে এখন রোগী ছাড়িয়েছে শতাধিক। প্রতিদিনই বাড়ছে রোগী। নিখরচায় রোগীদের সেবা দিয়ে আসা এই মানুষটির নাম ডা. এফএমএ জাহিদ।
১৯৮৭ সালে নগরীর তালাইমারী এলাকায় ‘ডায়াবেটিক কল্যাণ কেন্দ্র’ নামে নিখরচার এই সেবা কেন্দ্রটি চালু করেছিলেন। এখন নগরীর আলুপট্টি এলাকার নিজ বাড়ির নীচতলায় কেন্দ্র চালু রেখেছেন। চিকিৎসকের কাছে এসে রোগীরা পকেটে হাত দেবে না, এমন লক্ষ্য নিয়েই কেন্দ্র চালু করা হয়েছে বলে জানান ডা. এফএমএ জাহিদ।
ডা. জাহিদ জানান, মেডিকেল কলেজে পড়ার সময় তিনি সন্ধানীর সদস্য ছিলেন। তখন মানুষের উপকার করার অনেক সুযোগ ছিল। মেডিকেল কলেজের পাঠ চুকিয়ে সেই ভালো কাজ করার অভ্যাসটি ধরে রাখতে চেয়েছিলাম। প্রতিদিন একটি ভালো কাজ করার ইচ্ছা থেকে ডা. ইমদাদের অনুপ্রেরণায় ডায়াবেটিক কল্যাণ কেন্দ্রটি চালু করা হয়।
তিনি আরও জানান, প্রতিদিনই রোগী বাড়ছে। তাদের বিনা পয়সায় সেবা দেওয়া হয় এই কেন্দ্র থেকে। আগে পরীক্ষা ফ্রি ছিল। তবে তিন দফায় রিএজেন্টের (ডায়াবেটিস পরীক্ষার রাসায়নিক) দাম বেড়ে যাওয়ায় পরীক্ষা ফ্রি দেওয়া সম্ভব হচ্ছে না। তবে চিকিৎসার বই, রক্ত পরীক্ষা ও ব্যবস্থাপত্র ফ্রি দেওয়া হয়। দরিদ্র রোগীরাই মূলত এখানে আসেন। অনেককে ওষুধও কিনে দিতে হয়।