শেরপুর (নকলা) থেকে রেজাউল করিম বকুল: সবজি চাষ বদলে দিয়েছে শেরপুরের নকলা উপজেলার চরাঞ্চলের জীবনচিত্র। এক সময় সারা বছর চরের জমি পতিত থাকতো। ফসল ফলানোর কোনো চেষ্টা ছিল না। তাই সংসারে লেগে থাকতো অভাব অনটন। এখন ওইসব জমিতে সারা বছর চাষ হচ্ছে নানা জাতের সবজি। এতে আর্থিকভাবে স্বাবলম্বী হচ্ছে তারা। এখন আর চওে তেমন অভাব নেই। কাজ কর্ম, আবাদ পরিচর্যায় আর ফসল উৎপাদনে ব্যস্ত সময় কাটান চরের বাসিন্দারা।
তারা জানায়, ক’বছর আগেও পুরাতন ব্রহ্মপুত্র নদের তীর ঘেঁষে শেরপুরের নকলা উপজেলার নারায়নখোলা, চর অষ্টধর, চন্দ্রকোণা, চর বসন্তিসহ বিস্তীর্ণ চরে তেমন কোন ফসল উৎপাদন হতো না। এ জন্য চরের অধিবাসীদের অভাব-অনটন ছিল নিত্যসঙ্গী।
প্রায় ৭/৮ বছর ধরে চলছে কৃষি বিভাগের শস্য বহুমুখীকরণ প্রকল্পের কার্যক্রম। সেই সাথে কৃষকদের অদম্য চেষ্টা। এতে চরাঞ্চলে আস্তে আস্তে বাড়ছে সবজি আবাদ। দিন যতোই যাচ্ছে চরের জমিতে সবজিচাষের আবাদী জমির পরিমানও বাড়ছে। এখন সারা বছর চাষ হচ্ছে আলু, পটল, কচু, ভুট্টা, লাউ, শসা, কুমড়া, বেগুনসহ নানা জাতের সবজি। এতে এলাকার মানুষের নতুন নতুন কর্মসংস্থান সৃষ্টি হচ্ছে। ফিরে আসছে অর্থনৈতিক স্বচ্ছলতা। ফলে চরাঞ্চলে শিক্ষার হারও বাড়ছে। অনেকে ছেলে-মেয়েদেরকে উচ্চ শিক্ষায় শিক্ষিত করতে উদ্যোগী হয়েছেন।
কৃষি কর্মকর্তারা জানান, নকলার ব্রহ্মপুত্র নদের চরাঞ্চলের প্রায় ৪০০ হেক্টর জমিতে সবজি আবাদ হচ্ছে। চরের মাটি বেলে-দোঁআশ হওয়ায় ধান চাষ না হওয়ায় জমি পতিত থাকতো। ওইসব পতিত জমিতে এখন সবজি আবাদ করে কৃষকরা স্বাবলম্বী হচ্ছেন। তারা বলেন, কৃষি বিভাগের পক্ষ থেকে তাদেরকে আধুনিক চাষ পদ্ধতি এবং সঠিক পরিচর্যার জন্য পরামর্শ দেওয়া হচ্ছে।