ধনবাড়ী থেকে আব্দুল্লাহ্ আবু এহসান: স্বামীর চাপে পড়ে নিজের শিশুকন্যাকে বাঁশঝাড়ে ফেলে দিয়ে আবার নিজের কোলে ফিরে পেয়েছেন এক মা। প্রতিবেশীরা শিশুটির নাম রেখেছে ফেলানী।
ঘটনাটি ঘটেছে টাঙ্গাইলের ধনবাড়ী পৌরসভার সিংগাআটা গ্রামে।
গ্রামের কাঠমিস্ত্রি বলরামের দ্বিতীয় পক্ষের স্ত্রীর দুই ছেলে ও দুই মেয়ে রয়েছে। স্ত্রী মারা গেলে তৃতীয়বার বিয়ে করেন বলরাম। তৃতীয় স্ত্রীর নাম আরতি রানী।
সন্তান হলে আরতি রানীকে মেরে ফেলবেন বলে ভয় দেখাতেন বলরাম। কিন্তু আরতির একটি ছেলে হয়। এরপর আবারও সন্তানের মা হন আরতি। এবার কন্যা সন্তান।
স্বামীর অনবরত চাপে আর ভয়-ভীতিতে ৮ জানুয়ারি গ্রামের একটি বাঁশঝাড়ে গিয়ে শিশুকন্যাকে ফেলে আসেন নিরুপায় আরতি। লতা-পাতায় শিশুটিকে ঢেকে রেখে কাঁদতে কাঁদতে বাড়ি ফিরে আসেন তিনি।
কয়েক ঘণ্টার মধ্যেই পাশের বাড়ির এক নারী কান্নার শব্দ শুনে বাঁশঝাড়ে যেয়ে একাকী শিশুটিকে দেখে চিৎকার করে উঠেন। আশপাশের লোকজন ছুটে আসেন সেখানে।
ছুটে আসা উৎসুক মানুষদের মধ্যে আরতিও ছিলেন। আর সইতে পারেন না তিনি। চিৎকার করে কেঁদে উঠে বলেন, এ আমার সন্তান। আমিই ওকে মরণের হাতে ছেড়ে দিয়েছিলাম। পরম আদরে সন্তানকে কোলে তুলে নেন তিনি।
ধনবাড়ী পৌরসভার কাউন্সিলর আবদুল মজিদ মিন্টু ও ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সভাপতি প্রবীণ সরকার জানান, শিশুটি এখন সুস্থ্। গ্রামের লোকেরা নাম দিয়েছে ফেলানী। ফেলানী রানী সূত্রধর।