ঝিনাইগাতী আওয়ামী লীগের ৬৮ নেতা-কর্মী কারাগারে

শেরপুর থেকে হাকিম বাবুল: দলীয় অফিসে হামলা-ভাঙচুর চালানো এবং নেতা-কর্মীদের আহত করার ঘটনায় দায়েরকৃত দুটি মামলায় শেরপুরের ঝিনাইগাতী উপজেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদকসহ ৬৮ নেতা-কর্মীকে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।

রোববার (১৮ জানুয়ারি) শেরপুরের চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে আত্মসমর্পণ করে নেতা-কর্মীরা জামিন চাইলে বিচারক শরীফুল ইসলাম তাদের জামিন না-মঞ্জুর করে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন।

sherpur court sends awami leage men to jail
জামিন না-মঞ্জুর হওয়ার পর নেতা-কর্মীরা বিক্ষুব্ধ হয়ে উঠেন।

কারাগারে পাঠানোদের মধ্যে উল্লেখযোগ্যরা হলেন: উপজেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক গোলাম মোস্তফা, সাবেক সহ-সভাপতি মেফাজ্জল হোসেন চাঁন, সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক বেলায়েত হোসেন, উপজেলা যুবলীগের সভাপতি আবুল কালাম আজাদ ও উপজেলা ছাত্র লীগের সাবেক সভাপতি মো. ফারুক হোসেন।

আদালত সূত্রে জানা যায়, জামিন আবেদন না-মঞ্জুর হওয়ার সাথে সাথে এজলাসের ভেতরেই অভিযুক্ত নেতা-কর্মীরা ‘জয় বাংলা, জয় বঙ্গবন্ধু’ শ্লোগান দিতে থাকে। এসময় তারা ঝিনাইগাতী উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি এসএমএ ওয়ারেজ নাঈম এবং সাধারণ সম্পাদক আমিরুজ্জামান লেবুর নাম ধরে জুতা প্রদর্শন করে  শ্লোগান দিতে থাকে। পুলিশ পরিস্থিতি শান্ত করে।

আদালত ও দলীয় সূত্রে জানা যায়, ঝিনাইগাতী উপজেলা আওয়ামী লীগের তৃণমূল পর্যায়ে কমিটি গঠনকে কেন্দ্র করে গত ২৮ নভেম্বর স্থানীয় যুবলীগ ও ছাত্রলীগের সাবেক নেতাক-র্মীদের একটি অংশ দলীয় কার্যালয়ে হামলা চালিয়ে ভাঙচুর করে এবং উপজেলা আওয়ামী লীগের আহবায়ক নাঈমসহ সাত নেতা-কর্মীকে আহত করে। এ ঘটনায় স্থানীয় আওয়ামী-যুবলীগ-ছাত্রলীগসহ শতাধিক নেতা-কর্মীর বিরুদ্ধে দ্রুতবিচার আইনে একটি এবং ফৌজদারি কার্যবিধিতে আরেকটি মামলা দায়ের করা হয়।

১৯ জানুয়ারি মামলার পরবর্তী শুনানির তারিখ ধার্য করা হয়েছে।

নেতা-কর্মীদের আদালতে আত্মসমর্পণের সংবাদে সকাল থেকেই আদালত এলাকায় অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন ও নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার করা হয়। মামলা দুটির আসামি আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠনের নেতা-কর্মীদের প্রতি সহমর্মিতা জানাতে জেলা বিএনপির সভাপতি ও সাবেক এমপি মাহমুদুল হক রুবেল এবং ঝিনাইগাতী উপজেলা চেয়ারম্যান বিএনপি নেতা আমিনুল ইসলাম বাদশা আদালতে উপস্থিত ছিলেন।