বরিশাল থেকে এম. মিরাজ হোসাইন: বরিশালের উজিরপুরে রোববার ভোরে একটি ট্রাকে পেট্রোলবোমা ছোড়া হলে ঘটনাস্থলেই আগুনে পুড়ে ট্রাকটির হেলপার মারা গেছেন। এ সময় ট্রাকের চালক গুরুতর আহত হন।
নিহত হেলপার সোহাগ (১৯) ফরিদপুরের নগরকান্দা উপজেলার শংকরপুর গ্রামের মো. সাগরের ছেলে। একই এলাকার আব্দুল লতিফ শেখের ছেলে ট্রাক চালক রিপন শেখকে (২৯) মুমূর্ষু অবস্থায় ঢাকায় পাঠানো হয়েছে।
উজিরপুর থানার ওসি মো. নুরুল ইসলাম জানান, ফরিদপুর থেকে কাঁচামাল বোঝাই করে বরিশালের উদ্দেশে রওয়ানা হওয়া ভাইবোন পরিবহনের ট্রাকটি(ফরিদপুর ট-১১-০১৮৯) ভোরে ঢাকা-বরিশাল মহাসড়কের সানুহার পার হওয়ার সময় অবরোধ সমর্থকরা ট্রাকটিতে পেট্রোলবোমা ছোড়ে। এতে ট্রাকে আগুন ধরে যায়। নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে পাশের খাদে গিয়ে পড়ে ট্রাকটি।
ঘটনাস্থলেই আগুনে পুড়ে হেলপার সোহাগ মারা যায়। খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে অগ্নিদ্বগ্ধ চালক রিপন শেখকে আশংকাজনক অবস্থায় উদ্ধার করে।তাকে প্রথমে উজিরপুর হাসপাতালে চিকিৎসা দিয়ে দ্রুত ঢাকায় পাঠানো হয়। সোহাগের মৃতদেহ ময়না তদন্তের জন্য মর্গে পাঠানো হয়েছে।
এ ঘটনায় পুলিশ বাদী হয়ে হত্যা মামলা দায়ের করেছেন। জেলা পুলিশ সুপার একেএম এহসানউল্লাহ বলেন, হামলাকারীদের সনাক্ত করে গ্রেফতারের জন্য থানা পুলিশকে নির্দেশ দেয়া হয়েছে।
বিএনপির মিছিলে পুলিশের বাধা
অপরদিকে দক্ষিণাঞ্চলের ছয় জেলায় ২০ দলের ডাকা সকাল-সন্ধ্যা হরতালের সমর্থনে সকালে নগরীর কাউনিয়া এলাকায় বিএনপি নেতা মজিবর রহমান সরোয়ারের নেতৃত্বে মিছিল বের হয়। মিছিলে পুলিশ বাধা দিলে পুলিশের সাথে বিএনপির নেতা-কর্মীদের ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া ও সংঘর্ষে হয়। এতে বিএনপির ১০ নেতা-কর্মী আহত হয়। এছাড়া হরতালের সমর্থনে নগরীর সিএ্যান্ডবি রোড এলাকায় মিছিল বের করার চেষ্টাকালে বরিশাল সিটি কর্পোরেশনের প্যানেল মেয়র ও কাউন্সিলর তাসলিমা কালাম পলি ও তার স্বামী আবুল কালামসহ চারজনকে আটক করেছে পুলিশ।
শনিবার রাত দশটার দিকে নগরীর নৌ-বন্দরে পুলিশের আটককৃত পারাবত-৯ লঞ্চে অগ্নিসংযোগ করেছে হরতাল ও অবরোধকারীরা। খবর পেয়ে ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা স্থানীয়দের সহায়তায় আগুন নেভায়। এ ঘটনার পর নৌ-বন্দরে পুলিশ পাহারা জোরদার করা হয়েছে। সূত্রমতে, গত ১৩ জানুয়ারি দিবাগত মধ্যরাতে সুন্দরবন-৮ লঞ্চের সাথে মুখোমুখি সংঘর্ষের ঘটনার পর পারাবত-৯ লঞ্চটি বরিশাল নৌ-বন্দরে আটক করে পুলিশ।