বরিশাল থেকে এম. মিরাজ হোসাইন: টানা অবরোধের কবলে বরিশালে পেট্রোল পাম্পগুলোতে জ্বালানি তেলের সংকট দেখা দিয়েছে। তেল আমাদানি করতে না পারায় এ সংকট দেখা দিয়েছে। পেট্টোল পাম্প মালিক সংগঠন ও ক্রেতারা এ তথ্য জানিয়েছেন।
২০ দলীয় জোটের ডাকা অনির্দিষ্টকালের অবরোধে প্রতিদিনই নগরীতে ঘটছে ট্রাক ও যাত্রীবাহী বাসে অগ্নিসংযোগে নিহতের ঘটনা। এতে ব্যবসায়ীরা তেল আমদানি করতে পরিবহন সংকটে পড়েছে। সড়ক পথে খুলনা থেকে ট্যাংকলরি অকটেন ও পেট্রোল নিয়ে বরিশালের পাম্পগুলোতে সরবরাহ করে। নৌপথেও জ্বালাানি আমদানি করে ব্যবসায়ীরা। দাহ্য পদার্থ হওয়ায় অগ্নিকাণ্ডে ক্ষয়ক্ষতির আশংকা থাকায় অবরোধ কর্মসূচিতে তেলবাহী ট্যাংকলরি চলাচল বন্ধ রাখে মালিক কর্তৃপক্ষ।
রোববার ভোরে উজিরপুরের সানুহার এলাকায় পিকেটাররা একটি ট্রাকে পেট্টোলবোমা ছুড়লে ঘটনাস্থলেই অগ্নিদগ্ধ হয়ে নিহত হয় হেলপার সোহাগ। এসময় ট্রাকটি পুড়ে যায়। প্রতিদিনই বিভিন্ন স্থানে এরকম ঘটনা ঘটায় পরিবহন মালিকরা শ্রমিক সংকটে ভুগছে।
নগরীতে তুর্য, রুপাতলী পেট্রল পাম্প, ডোস্ট, সুরভীসহ প্রায় ২৫টির বেশি পেট্টোল পাম্প রয়েছে। এ পাম্পগুলো থেকে দৈনিক পেট্টোল, ডিজেল ও অকটেনসহ গড়ে প্রায় দেড় হাজার লিটার জ্বালানি বিক্রি হয়। বাস, ট্রাক, কাভার্ড, পিকআপ ভ্যান, বাস, মিনিবাস, মাইক্রোবাস, মাহেন্দ্র, আন্ত:জেলা ও দূরপাল্লার পরিবহন এ পাম্পগুলো থেকে জ্বালানি নেয়। টানা অবরোধে দূরপাল্লার পরিবহন কম চললেও লোকাল পরিবহন থেমে থেমে চলছে। অল্প আয়ের চালকরা অবরোধ উপেক্ষা করে ছোট ছোট পরিবহন চালাচ্ছে বাধ্য হয়ে।
কয়েকদিন থেকে পেট্রোল পাম্পগুলোতে জ্বালানি তেল সরবরাহ বন্ধ রয়েছে। মজুত জ্বালানি দিয়েই চাহিদা মেটাচ্ছে পাম্প কর্তৃপক্ষ। সোমবার থেকে নগরীর সুরভী ও নথুল্লাবাদসহ পাম্পগুলোতে ক্রেতারা তেল কিনতে গিয়ে তেল পাচ্ছে না।