রাজশাহী থেকে কাজী শাহেদ: বিএনপির বিশেষ সম্পাদক ও রাজশাহী জেলা বিএনপির সভাপতি নাদিম মোস্তফা গ্রেফতার হওয়ার পর ভাটা পড়েছে সরকারবিরোধী আন্দোলনে। গ্রেফতার এড়াতে জেলা বিএনপির শীর্ষ নেতারা রয়েছেন আত্মগোপনে। ফলে এখন আন্দোলনের হাল ধরেছেন মহিলাদল ও ছাত্রদলের নেতারা। হরতাল-অবরোধের নেতৃত্ব এখন তারাই দিচ্ছেন।
লাগাতার অবরোধ কর্মসূচিতে দু দিন মাঠে ছিল নগর বিএনপির নেতা-কর্মীরা। ধরপাকড় শুরু হলে আত্মগোপনে চলে যান নগর বিএনপির সভাপতি ও যুগ্মমহাসচিব মিজানুর রহমান মিনু, সাধারণ সম্পাদক শফিকুল হক মিলনসহ শীর্ষ নেতারা। এতদিন রাজশাহীর আন্দোলনে মাঠে ছিল জেলা বিএনপি। তবে নাদিম মোস্তফা গ্রেফতার হওয়ার পর নেতারাও আত্মগোপনে চলে গেছেন।
সোমবার (১৯ জানুয়ারি) ভোরে নাদিম মোস্তফা গ্রেফতার হওয়ার পর থেকে আত্মগোপনে আছেন জেলা বিএনপির সহ-সভাপতি তোফাজ্জল হোসেন তপু, যুগ্মসম্পাদক আলাউদ্দিন আহমদ ও মামুন অর রশিদ, কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য শাহিন শওকতসহ অধিকাংশ নেতা।
পুঠিয়া উপজেলা বিএনপির সভাপতি আবুল কালাম আজাদ জানান, এতদিন জেলার আন্দোলনে তাদের ভরসা ছিলেন নাদিম মোস্তফা। তিনি গ্রেফতার হওয়ার পর জেলার অন্য নেতারা গা ঢাকা দিয়েছেন। ফলে এখন আন্দোলন চালিয়ে নেওয়ার জন্য কোনো নির্দেশনা পাচ্ছেন না তারা।
জেলা ছাত্রদলের সভাপতি শফিকুল আলম সমাপ্ত জানান, নাদিম মোস্তফা গ্রেফতার হওয়ার পর জেলা বিএনপির শীর্ষ নেতারা আত্মগোপনে থাকায় এখন আন্দোলন-কর্মসূচি তারা চালিয়ে নিচ্ছেন।