শেরপুর থেকে হাকিম বাবুল: তীব্র শীতে বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে শেরপুরের জনজীবন। কনকনে ঠাণ্ডা আর ঘন কুয়াশার সাথে চলছে শৈত্যপ্রবাহ। গরম কাপড়ের অভাবে পাহাড়ি জনপদ ও চরাঞ্চলের ছিন্নমুল মানুষেরা বেশি দুর্ভোগে পড়েছে।
শিশু ও বয়স্কদের শীতজনিত ডায়রিয়া এবং নিউমোনিয়ার প্রকোপ বেড়েছে।
জেলা হাসপাতালের জরুরি বিভাগে কর্মরত ফার্মাসিস্ট সুধন্য চন্দ্র মন্ডল জানিয়েছেন, মঙ্গলবার বিকেল পর্যন্ত হাসপাতালের ডায়রিয়া ওয়ার্ডে ১৮ শিশু ভর্তি হয়েছে।
সদর উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা পিকন কুমার সাহা বলেন, চলমান শৈত্যপ্রবাহ দীর্ঘস্থায়ী হলে আলু আবাদের ক্ষতি হওয়ার আশংকা রয়েছে।
ঝিনাইগাতী উপজেলা ট্রাইবাল ওয়েলফেয়ার অ্যাসোসিয়েশনের চেয়ারম্যান নবেস খকশী, নলকুড়া ইউপি চেয়ারম্যান খলিলুর রহমান ও ডেফলাই বেদেপল্লীর সর্দার মাসুদ রানা বলেন, হাড় কাঁপানো শীতে দরিদ্র, ছিন্নমুল আদিবাসী ও বেদেপল্লীর লোকজন বেশি কষ্ট পাচ্ছে। শ্রমজীবী লোকজন কাজে বের হতে পারছে না। সন্ধ্যার পর রাস্তাঘাট জনশূন্য হয়ে পড়ছে। এ অবস্থা থেকে পরিত্রাণ পেতে তারা সরকারিভাবে শীতবস্ত্রের বরাদ্দ বাড়ানোর দাবি জানিয়েছেন।