দিনাজপুর থেকে রতন সিং: জমি নিয়ে বিরোধে দিনাজপুরের পার্বতীপুরে আদিবাসীদের ছোড়া তীরে এক যুবক নিহত ও ৪ জন আহত হয়েছে। প্রতিপক্ষের হামলায় আদিবাসীদের ১৫টি বাড়িতে অগ্নিসংযোগ, ভাংচুর ও লুটপাট চালানো হয়েছে। এই ঘটনায় ১৯ জনকে আটক করা হয়েছে। পুলিশের পাশাপাশি ঘটনাস্থলে বিজিবি মোতায়েন করা হয়েছে।
দিনাজপুরের পার্বতীপুর উপজেলার মোস্তফাপুর ইউনিয়নের হাবিবপুর গ্রামে ৩৬ বিঘা জমি নিয়ে দীর্ঘদিন ধরে আদিবাসীদের সাথে জহিরুল ইসলাম পরিবারের বিরোধ চলছিল। শনিবার (২৪ জানুয়ারি) সকাল ৮টায় জহিরুল ও তার পুত্র সোহাগ বিরোধপূর্ণ জমিতে চাষ করতে গেলে প্রতিপক্ষ আদিবাসীরা বাধা দেয়। এক পর্যায়ে আদিবাসীদের নিক্ষিপ্ত বিষাক্ত তীরে বিদ্ধ হয়ে ঘটনাস্থলেই সোহাগ (২৭) নিহত হন। গুরুতর আহত অবস্থায় তীর বিদ্ধ সোহাগের পিতা জহিরুল ইসলামকে (৫৫) দিনাজপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। ঘটনায় আহত আরও ৩ জনকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
সংঘর্ষের পর জহিরুল পক্ষের উত্তেজিত লোকজন আদিবাসী বার্না টুডু, মশায় টুডু, যোশেফ টুডু, স্টেফিন টুডুসহ আদিবাসীদের ১৫টি বাড়িতে হামলা চালিয়ে অগ্নিসংযোগ, ভাংচুর ও ব্যাপক লুটপাট চালায়। এ সময় আদিবাসী মহিলা ও শিশুরা প্রাণ রক্ষায় পালিয়ে নিরাপদ আশ্রয় গ্রহণ করে। সংঘর্ষের সময় পুলিশ পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের চেষ্টা করে। পরিস্থিতির অবনতি হলে ঘটনাস্থলে বিজিবি মোতায়েন করা হয়।
পার্বতীপুর থানার ওসি মাহমুদুল আলম জানান, দীর্ঘদিন ধরে ৩৬ বিঘা নিয়ে জহিরুলের সাথে আদিবাসীদের বিরোধ চলে আসছিল। জহিরুলের পরিবারের পক্ষ থেকে সোহাগ হত্যার মামলা দায়েরের প্রস্তুতি চলছে বলে ওসি আরও জানান।
ঘটনার পর পর জেলা প্রশাসক আহমেদ শামীম আল রাজী ও পুলিশ সুপার রুহুল আমীনসহ পুলিশের উর্দ্ধতন কর্মকর্তারা ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন। হাবিবপুর গ্রামে বিপুল সংখ্যক পুলিশ মোতায়েন রয়েছে। এখনও সেখানে উত্তেজনা বিরাজ করছে।