রংপুর থেকে জয়নাল অবেদীন: অবরোধে বাসে পেট্রোলবোমা মেরে মিঠাপুকুরসহ রংপুর অঞ্চলের বিভিন্ন স্থানে এপর্যন্ত শিশুসহ ছয়জন নিহত হয়েছে।অগ্নিদগ্ধ হয়ে রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে মৃত্যুর সাথে পাঞ্জা লড়ছে আরো নয় জন। অগ্নিদগ্ধ রোগীদের স্বজনরা সরকার এবং বিরোধী দলের প্রতি বিক্ষুদ্ধ হয়ে ওঠছে।
অগ্নিদগ্ধ রোগীদের পরিবার পরিজনরা অনাহারে-অর্ধাহারে মানবেতর দিন কাটাচ্ছে। তাদের যেন দেখার কেউ নেই। ভুক্তভোগীরা বলেন, আমরা শেখ হাসিনা এবং খালেদা জিয়া কারো দল করি না, রাজনীতি বুঝি না, আমরা সাধারণ মানুষ সাধারণভাবে চলতে চাই।
রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের বার্ন ইউনিটে এভাবেই যন্ত্রণায় ছটফট করতে করতে কথাগুলি বলছিলেন কুড়িগ্রামের রাজারহাট উপজেলার সবুজ পাড়া গ্রামের অগ্নিদগ্ধ আনোয়ার হোসেন। ১৪ জানুয়ারি কাজের সন্ধানে বাসে ঢাকায় যাবার পথে অবরোধকারীদের ছোড়া পেট্রোলবোমার আঘাতে অগ্নিদগ্ধ হয়ে মৃত্যুর সাথে লড়ছেন তিনি। বদরগঞ্জের আসাদুর ও গঙ্গাচড়ার স্বপন হাসপাতালে মৃত্যুর প্রহর গুনছে।কারো শ্বাস-নালি পুড়ে গেছে, কারো সারা শরীর ঝলসে গেছে। সহায় সম্বলহীন এসব অগ্নিদগ্ধদের পরিবার পরিজন অনাহারে মানবেতর দিন কাটাচ্ছে। তাদের যেন দেখার কেউ নেই।
রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল বার্ন অ্যাণ্ড প্লাস্টিক সার্জারি বিভাগের সহকারী অধ্যাপক ডা. মারুফুল ইসলাম বলেন, অগ্নিদগ্ধ রোগীদের চিকিৎসার জন্য সকল পদক্ষেপ গ্রহণ করা হচ্ছে।