নারায়ণগঞ্জে স্বামীর হাতে স্ত্রী খুন

কিশোরগঞ্জ থেকে মোস্তফা কামাল : নারায়ণগঞ্জের ফতুল্লায় কিশোরগঞ্জের গার্মেন্ট কর্মী মমতাকে (২২) অকালে প্রাণ দিতে হলো স্বামী সুজনের নির্মম প্রহারে। স্ত্রীর বেতনের টাকা পকেটস্থ করতে ব্যর্থ হয়ে সোমবার (২৬ জানয়ারি) রাতে মমতাকে পিটিয়ে হত্যা করে নারায়ণগঞ্জের খানপুর হাসপাতালে ফেলে রেখে সুজন পালিয়ে গেছে বলে জানা গেছে।

Kishoreganj (Garment Worker Momota)-27-01-15
স্বামী সুজনের সাথে স্ত্রী মমতা

তিন বছর আগে কিশোরগঞ্জ সদর উপজেলার চৌদ্দশত বাল্লারচর গ্রামের কৃষক গোলাপ মিয়ার মেয়ে মমতার (২২) বিয়ে হয়েছিল হোসেনপুরের চরপুমদী গ্রামের আব্দুল খালেকের ছেলে সুজনের (২৫) সঙ্গে। বিয়ের পর দুজনেই নারায়ণগঞ্জের ফতুল্লায় একটি গার্মেন্ট কারখানায় চাকরি নেন। ফতুল্লাতেই বাসা ভাড়া করে তারা থাকতো। কিন্তু বিয়ের তিন বছর না পেরুতেই বেতনের টাকা পকেটে নিতে ব্যর্থ হয়ে মমতাকে হত্যা করে স্বামী সুজন। নারায়ণগঞ্জে লাশের ময়না তদন্ত এবং ফতুল্লা থানায় অপমৃত্যু মামলা হয়েছে বলে মমতার বাবা গোলাপ মিযা এ প্রতিনিধিকে জানিয়েছেন।

আজ মঙ্গলবার (২৭ জানুয়ারি) দুপুর ১২টার দিকে মমতার লাশ বাবার বাড়িতে নিয়ে দাফন করা হয়। মমতার পিঠসহ শরীরের বিভিন্ন জায়গায় মারপিটের চিহ্ন রয়েছে বলে জানা গেছে।

মমতার বাবা গোলাপ মিয়া জানান, সোমবার রাত ৮টার দিকে তাকে মমতা মোবাইল ফোনে কাঁদতে কাঁদতে জানায়, বেতনের টাকার জন্য তাকে স্বামী সুজন নির্মমভাবে মারপিট করছে। রাত ১২টার দিকে নাম গোপন রেখে মমতার এক প্রতিবেশি মোবাইলে গোলাপ মিয়াকে জানান, মমতা মারা গেছে। খবর পেয়ে মমতার দুই ভাই নারায়ণগঞ্জে গিয়ে লাশ বাড়িতে নিয়ে আসেন। মমতার বাবা গোলাপ মিয়া ঘাতক সুজনের গ্রেফতার ও দৃষ্টান্তমূলক