বরিশাল থেকে এম. মিরাজ হোসাইন: বরিশালের বাকেরগঞ্জ উপজেলার পাঁচটি ইউনিয়নের চেয়ারম্যানদের বিরুদ্ধে পাঁচ কোটি টাকার কাজের দরপত্র সমঝোতার মাধ্যমে ভাগভাটোয়ারা করে নেওয়ার অভিযোগ পাওয়া গেছে।
উন্নয়ন সংস্থা হাইসাওয়া প্রকল্পের গভীর নলকূপ স্থাপণের উদ্দেশে এই দরপত্র সমঝোতা করার অভিযোগ পাওয়া যায়।
সাধারণ ঠিকাদাররা অভিযোগ করে বলেছেন, চেয়ারম্যানদের মনোনীত ঠিকাদার ব্যতিত সাধারণ ঠিকাদারদের দরপত্র ক্রয়ে বাধা প্রদান করা হয়। সাধারণ ঠিকাদাররা এ ঘটনার প্রতিবাদ করায় চেয়ারম্যানদের ভাড়াটিয়া লোকজন সাধারণ ঠিকাদারদের বিভিন্ন ধরনের ভয়ভীতি প্রদর্শন করেন।
সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, বাকেরগঞ্জ উপজেলার নিয়ামতি, ভরপাশা, ফরিদপুর, দাঁড়িয়াল ও নলুয়া ইউনিয়নের জন্য হাইসাওয়া প্রকল্পের আওতায় এক হাজার গভীর নলকূপ বরাদ্দ দেওয়া হয়। এর ব্যয় ধরা হয়েছে পাঁচ কোটি টাকা। নলকূপগুলো স্থাপণের জন্য হাইসাওয়া প্রকল্পের মাধ্যমে অতিসম্প্রতি দরপত্রের আহবান করা হয়। দরপত্র বিক্রয়ের শেষদিন ছিলো মঙ্গলবার। ওইদিন রাতে একাধিক সাধারণ ঠিকাদার সাংবাদিকদের কাছে অভিযোগ করেন, সংশ্লিষ্ট ইউপি চেয়ারম্যানরা সিন্ডিকেটের মাধ্যমে সমঝোতা করে তাদের মনোনীত ঠিকাদার ব্যতিত সাধারণ ঠিকাদারদের দরপত্র ক্রয়ে বাঁধা প্রদান করেন। বাধার কারণে সাধারণ ঠিকাদাররা কোন সিডিউল ক্রয় করতে না পেরে চরম ক্ষোভ প্রকাশ করেন। তারা পূনরায় দরপত্র আহবানের জন্য সংশ্লিষ্ট উর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের কাছে জোর দাবি করেছেন।
বুধবার দুপুরে নিয়ামতি ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান কামাল হোসেন তালুকদার ও দাঁড়িয়াল ইউপি চেয়ারম্যান শহিদুল ইসলামের সাথে যোগাযোগ করা হলে তারা উভয়েই সাধারণ ঠিকাদারদের অভিযোগ অস্বীকার করেন। অন্যান্য চেয়ারম্যানদের ব্যবহৃত মোবাইল ফোনে একাধিকবার যোগাযোগ করা হলেও তারা ফোনে সাড়া দেন নি।