শেরপুর থেকে হাকিম বাবুল: ভ্রাম্যমান রিকশাভ্যানে রসের হাঁড়ি।এসব হাঁড়িতে খেজুর ও তালের রস রয়েছে বলা হলেও আসলে রস নেই। কেউ কাছে যেতেই নিচু স্বরে বিক্রেতা বলেন-‘তাড়ি-চু-নাকি হাণ্ডি’!
এর সবগুলোই স্থানীয়ভাবে তৈরি একধরনের মাদক।ভ্রমন পিপাসু এক শ্রেণির তরুণ এবং মাদকসেবীদের কাছে এসব ভ্রাম্যমান রসের হাঁড়ির রিকশাভ্যান খুবই জনপ্রিয় হয়ে ওঠেছে।
কোমল পানীয়ের খালি বোতলে ভরে ৫০ টাকা থেকে ৩০০ টাকা পর্যন্ত এসব মাদক দেদারছে বিক্রি হচ্ছে।শেরপুরের ঝিনাইগাতী উপজেলার সীমান্তবর্তী গারো পাহাড়ের গজনী অবকাশ বিনোদন স্পটে হরদম বিক্রি হচ্ছে তাড়ি, চোলাই মদ, চুসহ বিভিন্ন ধরনের মাদক।প্রতিদিন গজনীর অবকাশ বিনোদন স্পটে জেলা এবং জেলার বাইরে থেকে শতশত ভ্রমন পিপাসু বেড়াতে আসছে।এসব ভ্রমন পিপাসুরা ওই রস বিক্রেতাদের হাক-ডাকে কাছে গেলেই নিচু স্বরে তাদের নিকট উল্লেখিত মাদকের কথা বলা হয়।এসময় পেশাদার মাদকসেবীসহ বেড়াতে আসা উঠতি বয়সের তরুনরা ওই মাদকের প্রতি আকৃষ্ট হচ্ছে।
স্থানীয়রা জানায়, এখানে শুধু ভ্রমন পিপাসুরাই নয়, শেরপুর শহর থেকে প্রতিদিনই এক শ্রেণির মাদক সেবনকারী এসব মাদক পান করার জন্য অবকাশ কেন্দ্রে ছুটে আসে।
এব্যাপারে ঝিনাইগাতী থানার ওসি ফসিহুর রহমান জানান, বিষয়টি আমার জানা নাই, খোঁজ নিয়ে দেখবো এবং প্রমাণ পেলে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেবো।