রাজশাহী থেকে কাজী শাহেদ: রাজশাহীতে পুলিশের সঙ্গে ‘বন্দুকযুদ্ধে’ নিহত হয়েছেন এক জামায়াত নেতা। মঙ্গলবার রাত সোয় ২টার দিকে নগরীর নলখোলা আশরাফের মোড় এলাকায় এ বন্দুকযুদ্ধের ঘটনা ঘটে। এতে গুলিবিদ্ধ হয়ে নিহত হন নুরুল ইসলাম শাহিন (৪০) নামে এক জামায়াত নেতা।
বুধবার (২৮ জানুয়ারি) ভোরে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গে নুরুল ইসলাম শাহিনের লাশ পান তার স্বজনরা। নিহত নুরুল ইসলাম শাহিনের বাড়ি পবা উপজেলার আশরাফের মোড় এলাকায়। নুরুল ইসলাম শাহিন নগরীর বিনোদপুর এলাকার জামায়াত পরিচালিত ইসলামিয়া কলেজের শিক্ষক ও পদ্মা অফসেট প্রিন্টিং প্রেসের মালিক ছিলেন। এছাড়া তিনি ৩০ নম্বর ওয়ার্ড জামায়াতের সেক্রেটারি ছিলেন।
নগর পুলিশ কমিশনার মো. শাসুদ্দিন জানান, মঙ্গলবার রাত ৯টার দিকে জামায়াতের দুর্ধর্ষ ক্যাডার নুরুল ইসলাম ওরফে টাকু শাহিনকে নগরীর মালোপাড়া এলাকা থেকে গ্রেফতার করে গোয়েন্দা পুলিশ। গ্রেফতারের পর নগরীর বিভিন্ন এলাকায় সহিংস ঘটনায় জড়িত থাকার কথা স্বীকার করে এবং তার সহযোগিদের ধরিয়ে দেওয়ার আশ্বাস দেয়। তার কথা মতো রাত সোয়া ২টার দিকে ডিবি পুলিশ ও মতিহার থানা পুলিশ যৌথভাবে শাহিনকে নিয়ে নলখোলা আশরাফের মোড় এলাকায় অভিযান চালায়। এসময় সেখানে আগে থেকে ওঁৎ পেতে থাকা জামায়াত-শিবিরকর্মীরা পুলিশকে লক্ষ্য করে ককটেল ও গুলি চালায়। পুলিশও পাল্টা গুলি চালায়। এ সময় গাড়ি থেকে নেমে শাহিন পালানোর চেষ্টা করলে গুলিবিদ্ধ হয়। পুলিশ তাকে উদ্ধার করে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিলে কর্তব্যরত চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।
পুলিশ কমিশনার আরও জানান, ঘটনাস্থল থেকে পুলিশ একটি রিভলবার, ১০টি ককটেল, দুই রাউন্ড পিস্তলের গুলি ও তিনরাউন্ড শর্টগানের গুলি উদ্ধার করেছে। পুলিশের সঙ্গে বন্দুকযুদ্ধের ঘটনায় নগর গোয়েন্দা পুলিশের কনস্টেবল মোজাফ্ফর হোসেন ও গোলাম মোস্তফা আহত হয়েছেন। তাদের রাজশাহী পুলিশ লাইন হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
নগর গোয়েন্দা পুলিশের মুখপাত্র সহকারি কমিশনার ইফতে খায়ের আলম জানান, নুরুল ইসলাম শাহিন ২০১৩ সালে মতিহার থানার তৎকালীন অফিসার ইনচার্জ (ওসি) আবদুল মজিদের ওপর হামলার প্রধান আসামি। তার বিরুদ্ধে নগরীর বিভিন্ন থানায় ১৩টি মামলা আছে। এছাড়া আটটি মামলার গ্রেফতারি পরোয়ানা ছিল।
তবে নিহত শাহিনের ভাই ফজলুল হক তুহিন অভিযোগ করেন, মঙ্গলবার রাত ৯টার দিকে নগর গোয়েন্দা পুলিশ নগরীর নিউ মার্কেটের পদ্মা অফসেট প্রিন্টিং প্রেস থেকে নুরুল ইসলাম শাহিনকে তুলে নিয়ে যায়। সকালে ছেড়ে দেওয়া হবে। ভোরে তারা লাশের সন্ধান পান।#
কাজী শাহেদ, ২৮ জানুয়ারি ২০১৫
৩৪৮ শব্দ