দিনাজপুর থেকে রতন সিং: ট্রাক পোড়ানো মামলার আসামি ধরা নিয়ে দিনাজপুরে জামায়াত-শিবিরের নেতা-কর্মীদের সাথে পুলিশের কয়েক দফা সংঘর্ষ হয়েছে। এসময় রাবার বুলেট ও টিয়ার শেলে তিনজন আহত হয়। পুলিশ পাঁচ জামায়াত কর্মীকে আটক করেছে।
মঙ্গলবার (২৭ জানুযারি) সন্ধ্যায় ভুষিরবন্দর এলাকায় ট্রাকে পেট্রোলবোমা হামলার মামলায় খানসামা উপজেলার ভাবকী ইউনিয়ন জামায়াতের আমীর আব্দুল জলিলকে পুলিশ আটক করে। পরে অন্য আসামিদেরকে ধরতে রানীরবন্দর এলাকায় অভিযান চালালে পুলিশের সাথে জামায়াত-শিবিরের নেতা-কর্মীদের সংঘর্ষ বাধে। সংঘর্ষে জামায়াত নেতা ইউসুফ আলীসহ তিনজন আহত হয়। পরে জামায়াত নেতা মোফাজ্জল হোসেন, রায়হান আলী, শফিকুল ইসলাম ও মোক্তারুলসহ পাঁচজনকে আটক করা হয়।
সদর সার্কেল এএসপি সুশান্ত সরকার জানান, পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে কয়েক রাউণ্ড রাবার বুলেট ও টিয়ার শেল ছোড়া হয়।
২১ ও ২৪ জানুয়ারি কাহারোল উপজেলার ভাতগাঁ ব্রিজ ও চিরিরবন্দর উপজেলার ভুষিরবন্দর এলাকায় পৃথক দুটি ট্রাকে পেট্রোলবোমা হামলা হয়। এতে দগ্ধ আব্দুর রশিদ ও আব্দুল মালেক রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা গেছেন। এ নিয়ে দায়ের করা মামলার আসামি ধরতে গেলে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে।